ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সুসংহত করতে হবে: খেলাফত মজলিস
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সুসংহত করতে হবে বলে জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈর শাসক শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একমাস পূর্তিতে খেলাফত মজলিস দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
শুভেচ্ছা বাণীতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বুকে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় সরকার। যেখানে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ছিল না, বাক স্বাধীনতা ছিল না। মৌলিক মানবাধিকার ছিল ভূলুণ্ঠিত। সুস্থ ধারার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল নির্বাসিত। মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছিল দুর্বিষহ। দেশের এ দুর্দিনে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছে, রক্ত ঝরিয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ স্বৈরশাসকের পতন ঘটেছে। আমরা দেশবাসীকে অভ্যুত্থানের একমাস পূর্তিতে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, গত এক মাস ধরে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী ও ছাত্র নেতাদের সহযোগিতায় অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। পরাজিত শক্তির সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে পেরেছে। আমরা ন্যায়-ইনসাফ ভিত্তিক একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। আশা করি আমাদের এ ঐক্য আগামীর বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আরও উঁচু স্থানে নিয়ে যাবে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে খেলাফত মজলিসের আমীর বলেন, কষ্টার্জিত বিপ্লব যাতে বেহাত হয়ে না যায় সেজন্য সবাইকে আরও সজাগ থাকতে হবে। ছাত্র-জনতার কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সুসংহত করতে হবে।