জলদস্যুর কবল থেকে ২৩ পাকিস্তানিকে উদ্ধার ভারতীয় নৌবাহিনীর
আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের ছিনতাই করা একটি ইরানি মাছধরা জাহাজ থেকে ২৩ পাকিস্তানি মৎসজীবীকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ‘তীব্র অপারেশন’ শেষে শুক্রবার তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর এক মুখাপাত্র। এক্সপোস্টে তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে ইরানি মাছধরা জাহাজ আল কামবার থেকে ২৩ জন পাকিস্তানি নাগরিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌ সেনারা। সাগরের যে এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান থেকে ইয়েমেনের সোকোত্রা দ্বীপের দূরত্ব ৯০ নটিক্যাল মাইল।’
আরব সাগরে সোমালি ও আফ্রিকান জলদস্যুদের তৎপরতা ঠেকাতে ‘আইএনএস সুমেধা’ এবং ‘আইএনএস ত্রিশূল’ নামে ভারতীয় নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ নিয়মিত টহল দেয়। জলদস্যুতা ঠেকানোর এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সংকল্প’।
ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারের নয়াদিল্লি প্রতিনিধিকে জানান, গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর শুক্রবার সকাল থেকে আল কামবার নামের জাহাজটির পিছু নেয় আইএনএস সুমেধা। পরে আইএনএস ত্রিশূলও এতে যোগ দেয়।
আল কামবার জাহাজটি থেকে ২৩ জন পাকিস্তানিকে উদ্ধারের পাশাপাশি ৯ জন সোমালি জলদস্যুকে গ্রেপ্তারও করেছে ভারতীয় নৌ সেনারা। তাদের সবাইকে প্রথমে ভারতে আনা হবে বলে জানা গেছে।
ভারত মহাসাগর ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত আরব সাগর ও লোহিত সাগরে গত কয়েক বছর ধরে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা বাড়তে থাকায় এই তিন সাগরে নিয়মিত টহল দিচ্ছে ভারতের নৌবাহিনীর বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ। জলদস্যুতা ঠেকানোর এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সংকল্প’।
সম্প্রতি ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভারত মহাসাগও ও এই মহাসগারের সঙ্গে সংলগ্ন সাগরগুলোতে জলদস্যুতে ঠেকাতে ‘অপারেশন সংকল্প’ অব্যাহত রাখবে নৌবাহিনী।