চট্টগ্রামরাজনীতি

জিয়ার জীবনের শুরু চট্টগ্রামে, শেষও চট্টগ্রামে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের মঙ্গল যারা চায়নি, তারাই জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে নির্মমভাবে খুন করেছে। জিয়ার জীবনের শুরুই এ চট্টগ্রামে, শেষও চট্টগ্রামে। তিনি বলতেন, স্লোগানে মুক্তি আসবে না, আমাদের উৎপাদনমুখী হতে হবে, কর্মমুখী হতে হবে। প্রত্যেক মানুষের হাতে কাজ পৌঁছে দিতে হবে।’

চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরীর ভিআইপি ব্যাঙ্কুয়েট হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে শহীদ জিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের দেশের স্বাধীনতা শুধু কথার মধ্যে দিয়ে আসেনি। এসেছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে। পাকিস্তানের কর্নেল জানজুয়া জিয়াউর রহমানের হাতে নিহত হয়েছেন। শেখ হাসিনাকে বলব, আপনার আশপাশে আছে এমন কাউকে বের করুন তো যে যুদ্ধে গুলি ছুড়েছে। আপনার দলে মুক্তিযোদ্ধা নেই এ অপবাদ আমি দেব না। আছে, কিন্তু সবাই প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, রনাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা নয়।’

জিয়াউর রহমানের ছবি পাহারা দিতে পুলিশ লাগে না মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে জিয়ার নাম লেখা আছে। এ নাম লেখা যায়, মোছা যায় না। জিয়ার ছবি পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশ লাগে না। আর মাঝে মাঝে কিছু মামলা হয় অমুকের ছবি ছিঁড়েছে। নাম বললাম না। জিয়ার ছবি ছেঁড়ার জন্য কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে হয়নি। কারণ জিয়ার ছবিতে হাত দিতে কেউ সাহস করে না।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বান আবু সুফিয়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *