জাতীয়

ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা হয় ভিডিও কনফারেন্সে: ডিবি

ভোটের আগে ‘বিদেশি মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি’ করতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছিল। ভয়াবহ নাশকতার এই পরিকল্পনা হয় ভিডিও কনফারেন্সে। আর তাতে অংশ নেয় ১০ থেকে ১২ জন। ঘটনার তদন্তে নেমে কাজী মনসুর আলম নামে ‘যুবদলের’ একজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার মোবাইল ঘেঁটে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনার ওই কনফারেন্সে ১০ থেকে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। তখন আলোচনা হয় ট্রেনে আগুন ও বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নাশকতার বিষয়টি। এমন একটি ট্রেনে আগুন দিতে হবে যাতে বিদেশি মিডিয়া ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে; তখন কে পারবে জানতে চাইলে একজন পারবে বলে জানায়।’

গোয়েন্দা পুলিশ সেই ব্যক্তির নাম পেয়েছে জানিয়ে হারুন বলেন, ‘কাজী মনসুরসহ দুজন সহযোগীকে সঙ্গে নেয় ওই ব্যক্তি। তাদের পরিকল্পনা ছিল ওই ট্রেনে আগুন দেওয়া।’

ভোট ঠেকাতে বিএনপির ডাকা হরতালের আগে শুক্রবার রাত নয়টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগ কাঁচাবাজারের কাছে এসে থেমে যায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। সে সময় ট্রেনের কয়েকটি বগি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সেসময় ভেতর থেকে ভেসে আসছিল যাত্রীদের আর্তনাদ। ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন চারজন। হাসপাতালে ভর্তি আটজনের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী (৬৬) ছাড়াও যুবদলের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি লালবাগ ও ওয়ারী বিভাগ। তারা হলেন- কাজী মনসুর আলম, মো. ইকবাল হোসেন স্বপন, মো. রাসেল, দেলোয়ার হাকিম বিপ্লব, মো. সালাউদ্দিন, মো. কবির ও মো. হাসান আহমেদ।

ঘটনার সঙ্গে বিএনপি নেতা নবীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে এক প্রশ্নে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, “অর্থদাতাসহ আর কোন কোন বিষয়ে জড়িত, তা তদন্তে বের হয়ে আসবে। এই ঘটনা যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *