দেশজুড়ে

তরুণীর প্রেমের জাল, ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে সর্বস্ব লুট: গ্রেপ্তার ৭

তাসনুবা আকতার, বয়স সবেমাত্র ২৩ বছর। জীবনের রঙিন সময়কে কাজে না লাগিয়ে বেছে নিয়েছেন প্রতারণার পথ। রূপকে কাজে লাগিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণ থেকে বৃদ্ধ সব শ্রেণির লোকদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নেওয়াকে বানিয়েছেন পেশা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রেমের এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে প্রথমে গোপন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে ওই ভিডিও দিয়ে তার সঙ্গীরা কখনো ডিবি, কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে অর্থ আদায় করতেন।

সর্বশেষ তার প্রতারণার ফাঁদে পড়েন লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের যুবক মামুন (ছদ্মনাম)। তাসনুবা তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্ল্যাকমেইলিং করে মামুনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।

শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে শনিবার রাতে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার সুবর্ণপুর এলাকার সৈয়দ আব্দুর রউফের ছেলে সৈয়দ আয়াত উল্লাহ (৩৭), বালুতুপা গ্রামের মো. ইসহাক মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন (৪০), একই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. কবির হোসেন (২৮), বরুড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৩৬), গালিমপুর গ্রামের মো. আলী আজগরের ছেলে মো. আব্দুর রহিম, চান্দিনা উপজেলার কেশরা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাসনুবা আক্তার (২৩) ও লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মো. সাখাওয়াত হোসেন (২৮)।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনে থোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান রাফি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *