চট্টগ্রামনগরজুড়ে

তারেকের নির্দেশে নৃশংস খুনের শিকার মহিমকে- মাহতাব

চট্টগ্রাম: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনের নির্দেশে নৃশংস খুনের শিকার হয়েছিলেন শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন মহিম  এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী

বুধবার ছাত্রনেতা শহীদ মহিম উদ্দিনের ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণ সভায় এই অভিযোগ করেন তিনি।

নগরের গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে শহীদ মহিম উদ্দিন স্মৃতি সংসদ। ওমরগণি এম ই এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম.আর আজিম এবং নগর যুবলীগ সহ সভাপতি নুরুল আনোয়ার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২০০৪ সালে বিএনপি-জামাত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে তারেক জিয়া ও হাওয়া ভবনের নির্দেশে আওয়ামী লীগ তথা যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে যে নীল নকশা প্রণয়ন করেছিল। সেই নীল নকশার শিকার শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন মহিম। আজকের সভায় এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং তারেক জিয়াকে দেশে এনে সর্বোচ্চ শান্তির দাবি জানাই।

মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন তৎকালীন বিএনপি জামাত সরকারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের যুব ও ছাত্র রাজনীতিকে সংগঠিত করেছিল বিধায় তারেক জিয়া ও হাওয়া ভবনের নির্দেশে শহীদ ছাত্রনেতা মহিমকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। আমরা বিচার বহিভূত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিনের নামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি রাস্তার নামকরণ করা হবে বলে ঘোষণা দিচ্ছি।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন ছিলেন তৎকালীন সময়ের একজন সাহসী ছাত্রনেতা। তৎকালীন বিএনপি জামাত সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার দোসর তারেক রহমানের রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিনকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস চালিয়েছিল। কিন্তু শহীদ ছাত্রনেতা মহিমের অনুসারীরা তারেক জিয়ার এই হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল এবং জোট সরকারের পতন ঘটিয়েছিল। আমি এই বিচার বহিভূত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং তারেক বাহিনীর যারা এই ঘটনায় জড়িত ছিল তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি এবং শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিনের কৃতিত্ব তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে মেধাশূন্য করতে গিয়ে জনপ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দিন মহিমকে হত্যা করেছিল। ৭৫’র আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন মহিম এর হত্যা একই সূত্রে গাঁথা।

মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ গঠন প্রণালী এবং ঐতিহাসিকভাবে শক্তিশালী একটি সংগঠন। যার ভীত রচিত হয় মহিম উদ্দিনের মত ছাত্রনেতাদের মাধ্যমে। তাই দেশ বিরোধী শক্তি বিএনপি জামাত এই হত্যায় মেতেছিল। যা ইতিহাসে অত্যন্ত ঘৃণিত হয়ে থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে এম ই এস কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক জিএস হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, মেধায় এবং সাহসিকতায় শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন মহিম ছিলেন তৎকালীন সময়ে সবার মাঝে অনন্য। সে আমার প্রিয় বন্ধুও। তৎকালীন সরকারের কালো বাহিনীর মাধ্যমে শহীদ ছাত্রনেতা মহিমকে নৃশংসভাবে খুন করে তৎকালীন যুব ও ছাত্রনেতাদের দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল। তারা প্রমাণ করেতে চেয়েছিল যে, তাদের হাতে রাজনীতি জিম্মি করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু শহীদ ছাত্রনেতা মহিমের এই ত্যাগকে সামনে রেখে আমরা নতুনভাবে বলীয়ান হয়ে এই চট্টগ্রাম মাটিতে তাদের পরাজয় নিশ্চিত করেছি।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম বলেন, মহিমের এই ত্যাগ আমাদের শক্তিতে পরিনত হয়েছে। যখনই অপশক্তি সামনে আসবে আমরা এই শোককে শক্তিতে পরিনত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *