চট্টগ্রাম

তিন দিনে এলাচের দাম কমল ৫০০ টাকা

অবশেষে পাইকারিতে কমেছে এলাচের দাম। গত তিনদিনের ব্যবধানে এলাচের দাম কেজিতে কমেছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এলাচের বুকিং দর স্থিতিশীল রয়েছে। তবে এখানে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণহীন ট্রেডিং (হাতবদল) ব্যবসার কারণে এলাচের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে।

জানা গেছে, বাজার চাহিদা না থাকার পরেও খাতুনগঞ্জের কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী যারা তেল–চিনি ও গমের স্লিপ বেচাকেনায় জড়িত, তারাই মূলত এলাচের দাম বৃদ্ধি করে। বাজারে এলাচের মজুদের চেয়ে স্লিপ বেচাকেনা হয়েছে কয়েকগুণ বেশি।

মসলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ টাকায়। গত তিনদিন আগে সেই এলাচ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৯২০ টাকায়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে প্রায় সব ধরনের মসলা আমদানি করতে হয়। এলাচ আসে গুয়েতমালা থেকে। বাকি সব পণ্য ভারত থেকেও আসে। তবে বর্তমানে বাজারে গরম মসলার তেমন চাহিদা নেই। তারপরেও অজানা কারণে সম্প্রতি লাগামহীন দাম বাড়ে।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাজারে এলাচের বাজারে কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু বাজার এখনো নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। এরমধ্যে অন্যতম কারণ হলো অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা এলাচ নিয়ে ট্রেডিং (হাতবদল) করছেন। যার কারণে বাজার উঠানামা করছে।

খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক হাজী জসিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, এলাচের বাজার এখন নিম্নমুখী। পত্রিকায় নিউজ হওয়ার থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ট্রেডিং কমিয়ে দিয়েছেন।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, গরম মসলা নিত্যপণ্য না। প্রতিদিনের রান্নায় সেই মসলার ব্যবহার কেউ করে না। অথচ একশ্রেণীর সিন্ডিকেট গরম মসলার স্লিপ বেচাকেনা করে দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এলাচের কথা বলতে হয়। আমাদের দেশে এত এলাচের চাহিদা নেই, যে পরিমাণ এলাচ খাতুনগঞ্জে ট্রেডিং হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *