দলের পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাইছি : শান্ত
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যাত্রার শুরু হয়েছিল একেবারেই কম প্রত্যাশা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে কাছে সিরিজ হারায় সেটি গিয়ে ঠেকেছিল তলানিতে।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে সুপার এইটে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।
এই পর্বে অবশ্য হতাশই করেছে তারা। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ, এরপর হতাশ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আফগানরা।
অথচ শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের জন্যও ছিল বেশ ভালোভাবে। আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে দেওয়ার পর এই রান ১২ ওভার ১ বলে তাড়া করতে হতো। কিন্তু সেটি পারেনি তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলার পর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের পুরো যাত্রা সম্পর্কে বলবো, আমরা দল হিসেবে বাংলাদেশের সব সমর্থককে হতাশ করেছি। যারা আমাদের খেলা অনুসরণ করেন, সবসময় অনুসরণ করেন তাদের ‘লেট ডাউন’ করেছি। আমি দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি। ’
এবারের পুরো বিশ্বকাপজুড়েই খারাপ করেছে দলের ব্যাটিং ইউনিট। বিশেষত টপ অর্ডাররা একদমই নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারেননি। সমর্থকদের ভালো কিছু দিতে না পারায় এ নিয়েও হতাশার কথা জানান অধিনায়ক শান্ত।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে দেশের মানুষকে ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা সরি। সামনের দিকে আমাদের এটাই চেষ্টা থাকবে, কীভাবে এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারি। ’
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য দারুণ করেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৭ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৭.৭৬ করে রান দিয়ে পেয়েছেন ১৪ উইকেট। দীর্ঘদিন ধরেই একজন লেগ স্পিনার হন্যে হয়ে খুঁজছে বাংলাদেশ। রিশাদের প্রশংসা টুর্নামেন্ট শেষেও করেছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘ইতিবাচক দিক অবশ্যই বোলাররা… তারা সবাই খুবই ভালো বোলিং করেছে। রিশাদ এরকম একটা টুর্নামেন্টে এসে সবগুলা ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে। তো বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল। ’
‘তবে ব্যাটিং দিক থেকে আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি। দেশের মানুষকে আমরা বলতে গেলে কষ্ট দিয়েছি। তবে এটাও আমি বলতে চাই, চেষ্টার কমতি ছিল না। শতভাগ দিয়ে সবাই চেষ্টা করেছে। সবাই নিজের কাজে সৎ ছিল। তবে আমরা দিন শেষে আমরা পারিনি। তাই এটার জন্য দলের পক্ষ থেকে সরি। ’