দেহদানের সিদ্ধান্ত ঋতুপর্ণার
মানুষ মানুষকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়, অনুপ্রাণিত হয়। টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ক্ষেত্রেও এমনটা হলো। পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহদান দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেহদানের।
গত ৮ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। জীবদ্দশায় নিজের দেহদান করে দেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ দাহের পরিবর্তে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানকার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপরই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ঋতু। বুদ্ধদেবের মতো নিজেও দেহদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমার ফুপু, ফুপা একই পথের পথিক। আমিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) পথেই হাঁটব। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়তো কোনো মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকব চিরকাল।
মুখ্যমন্ত্রীর শেষ যাত্রায় ছুটে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। সে বর্ণনা দিয়ে নায়িকা বলেন, আমি যখন পৌঁছেছি, তখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় অফিসের কার্যালয় থেকে দেহ নীলরতন সরকার হাসপাতালের পথে। আমার জন্য শববাহী গাড়ি কয়েক মুহূর্তের জন্য থামানো হয়েছিল। জনস্রোতে ভাসতে ভাসতে ওনার গাড়ির কাছে পৌঁছালাম।
বুদ্ধদেব সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেন, “ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত। আর প্রচণ্ড রসিক। কথায় কথায় বেশ মজা করতেন। ওনার আমলে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছি। যতবার সামনাসামনি হয়েছি, হাসিমুখে কথা বলেছেন।”
ঋতুপর্ণার সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ছিল প্রয়াত এ রাজনীতিবিদের। পেয়েছেন তার স্নেহ। অভিনেত্রীর ‘পারমিতার একদিন’, ‘আলো’ ছবি দুটি প্রয়াত রাজনীতিবিদের প্রিয় ছিল। ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পরও ঋতুপর্ণাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।