আন্তর্জাতিক

নারী-শিশুসহ ৩৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুসারে ৩৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হাত থেকে মুক্তি পাওয়াদের তালিকায় তিনজন নারী, বাকিরা সবই শিশু-কিশোর।

অবরুদ্ধ গাজা থেকে বন্দীদের ফিরিয়ে আনার শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। হামাসের শর্ত অনুসারে ইসরায়েলি সেনারাও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিচ্ছে। ফলে যুদ্ধবিরতির চারদিনে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনের সংখ্যা নারী-শিশুসহ এখন পর্যন্ত ১৫০।

আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকার সবচেয়ে কম বয়সী ফিলিস্তিনি। তার নাম নোফুজ হাম্মাদ, বয়স মাত্র ১৬। ইসরায়েলি আদালত তাকে ১২ বছরের সাজা দিয়েছিল।

যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে ইসরায়েলিরা তাকেও মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও তাদের ১১ নাগরিকের মুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে বাহিনী জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজা উপত্যকা থেকে ১১ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

টিআরটির খবরে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সরকার অবরুদ্ধ গাজায় হামাসের হাতে বন্দিদের একটি তালিকা পেয়েছে। এসব বন্দিকেও বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে মুক্তি দেওয়া হতে পারে, যা আজই হতে পারে। এ তথ্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে জানিয়েছে ইসরায়েলের আর্মি রেডিও।

অ্যাক্সিওস নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, এ তালিকায় ১০ জন জিম্মির কথা উল্লেখ আছে। এ ছাড়া নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে ৫০ ফিলিস্তিনি নারীকে মুক্তি করা বলা হচ্ছে।

দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল। এ চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৫০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার ছিল এই চুক্তির শেষ দিন। তবে আজ থেকে আরও দুদিন যুদ্ধবিরতি বাড়িয়েছে দুই পক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *