লাইফস্টাইল

নিজেই নিয়ন্ত্রণ করুন সাইনোসাইটিস

সাইনাস ইনফেকশন হলো একটি নাকের সমস্যা। অ্যালার্জি বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ বা সর্দির কারণে হয়ে থাকে এই সমস্যা।

শীতে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। সাইনাসের কারণে শরীরে মিউকাস বাড়াতে থাকে। এর কারণে মাথাব্যথা ও শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়। এই সমস্যা হলে নিয়ম মেনে কিছু ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে ঠিকই। তবে সারাবছর কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এ সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা যায় অনেকটাই। জেনে নিন নিয়ন্ত্রণের উপায়:

* ঠাণ্ডা খাবেন না ও ঠাণ্ডা লাগাবেন না
* কুসুম গরম পানিতে গোসল। শীতকালে কুসুম গরম পানি পান করুন
* ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি ও বরফ আইসক্রিম খাবেন না
* ধুলাবালুময় পরিবেশে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন
* দিনে দু-একবার স্টিম ইনহেলেশন নিন বা গরম পানির ভাপ নাক দিয়ে টানুন ও মুখ দিয়ে ছাড়ুন
* সর্দি-ঠাণ্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ সাময়িকভাবে এড়িয়ে চলুন
* বেশি গরমে কাজ করবেন না কিংবা একসঙ্গে টানা বেশি পরিশ্রম করবেন না
* নির্দিষ্ট কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেই খাবার পরিহার করুন
* ঘরের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না। বিছানার চাদর, পর্দা, মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার করুন
* ঘরের চারপাশ খোলামেলা রাখুন ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ পরিহার করুন
* সর্দি, হাঁচি ও কাশির সঙ্গে সঙ্গে কান ও মাথা ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ যেকোনো একজন নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন:
যদি পাঁচ-সাতদিনের মধ্যে লক্ষণগুলোর থেকে রেহাই না পান, একটানা প্রচণ্ড জ্বর থাকা, চোখে ঝাপসা দেখা ও ফুলে লাল হয়ে যাওয়া, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, বমি ও অজ্ঞান হওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়, তবে হাসপাতালে যান অথবা একজন নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

সতর্কতা:
যথাযথ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কখনো নাকের ড্রপ বা স্প্রে তিন থেকে পাঁচদিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। এতে অনেক সময় নাকের জ্যাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *