চট্টগ্রামপটিয়া

পটিয়াকে পরিবারতন্ত্রমুক্ত করার আহ্বান বিএনএমের এয়াকুব আলীর

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত চট্টগ্রাম -১২ (পটিয়া) আসনের প্রার্থী এম এয়াকুব আলী বলেছেন, ‘পশ্চিম পটিয়া হচ্ছে ভোট ব্যাংক। নির্বাচন আসলে সব প্রার্থী নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের ভোট গুলো কৌশলে নিয়ে ভোটের পর আর পশ্চিম পটিয়ার মানুষকে চিনেন না। আমরা যুগে যুগে পশ্চিম পটিয়ার মানুষ অবহেলিত। এবার সময় এসেছে পশ্চিম পটিয়ার একক সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আমাকে নোঙ্গর প্রতীকে বিজয়ী করে অবহেলিত পশ্চিম পটিয়ার মানুষের পক্ষে জাতীয় সংসদে গিয়ে কথা বলার। সেজন্য আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নোঙ্গর প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি গত ১৮ বছর আগ থেকেই একটা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। সরকার বলছে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বিএনএম বাংলাদেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু ধারা ফিরিয়ে আনতে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমি পটিয়ার মানুষের জন্য পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে এসেছি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, কিশোর গ্যাং, গুম, খুন, অপহরনমুক্ত পটিয়া গড়তে আমি কাজ করব। যাতে আমার পটিয়ার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। দেশে সব মতের লোক থাকবে। এ বীর পটিয়া আমার নিজ এলাকা। পটিয়াকে নিয়ে আমার অনেক ভাবনা আছে। অনেক সুনাম ও ঐতিহ্য রয়েছে এ পটিয়ার। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি রাজনীতিতে যত মানুষের সাথে কথা বলা যায়, অন্য পেশায় তা করা সম্ভব নয়। উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু পটিয়ায় টেকসই উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে, হালুয়া রুটির ভাগাভাগি হয়েছে। পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে পটিয়ার মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে গত ১৫ বছর ধরে। এবার সময় এসেছে পটিয়ার মানুষকে পরিবারতন্ত্রের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দেওয়ার।’

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জিরি ইউনিয়নের ফকিরা মসজিদ বাজার ও কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা চৌমুহনী এলাকায় পৃথক দুটি নির্বাচনী কার্যালয় উদ্ধোধন পরবর্তী আলোচনা সভায় শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী এসব কথা বলেন।

এয়াকুব আলী বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো দিনের ভোট আর রাতে হওয়ার সুযোগ নেই। সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কমিটমেন্ট অনুযায়ী এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই আশ্বাসে আমি পটিয়াবাসীর সাথে সুখ দুঃখের সারথি হওয়ার জন্য নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। পটিয়ার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। সাধারণ মানুষ চাই পরিবর্তন আমি সেই পরিবর্তনের স্বপক্ষে আগামী নির্বাচনে আমার নোঙ্গর প্রতীকে ভোট চাই। আমি এ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। অনেকেই বলছেন পটিয়ায় দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে পারব কি না। আমি এ ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করছি আমি নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাবো না।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মনসুর আলম, আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, হাজী ছৈয়দ, ডা. জাহাঙ্গীর, মো. ইদ্রিস সওদাগর, মোহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর সওদাগর, মাওলানা সামশুল আলম, হাফেজ নুরুল্লাহ, মো. আলমগীর, আবুল কালাম সহ আরও অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *