পবিত্র শবে কদর আজ
পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর শনিবার (৬ এপ্রিল)। সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ রাতটি পালিত হবে। যদিও শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিগুলোতে শবে কদরের তালাশের কথা বলা হয়েছে। তবে হাদিসের সূত্র অনুযায়ী ২৭শের রাত্রিকে অধিক সম্ভাবনাময়ী শবে কদরের রাত হিসেবে ধরা হয়।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন।
পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন। পবিত্র এই রাতে অনেকে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। শবে কদর উপলক্ষে ২৭ রমজান সরকারি ছুটি রয়েছে।
শবে কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ বিভিন্ন কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে শবে কদরের রাতে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
শবে কদর উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আজ শনিবার মাগরিবের নামাজের পর ‘পবিত্র শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য’ শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মহা. বশিরুল আলম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী জামেয়া ইসলামিয়া জামে মসজিদের মুহতামিম মাওলানা সাকিবুল ইসলাম।
পবিত্র রমজান মাসে দেশের অনেক মসজিদে তারাহির নামাজে কোরআন খতম দেওয়া হয়। আজ পবিত্র শবে কদরে মসজিদগুলোতে খতমে তারাবিহ শেষ হবে।