চট্টগ্রাম

পরকীয়ার জেরে খুন হন বেকারি শ্রমিক শাহ আলম

বাঁশখালীতে বেকারি শ্রমিক শাহ আলম খুন হওয়ার ১২ ঘন্টার মাথায় ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রধান আসামি মাহবুবুর রহমানকে (৩০) গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানান আসামি মাহবুব।

মাহবুবুর রহমান বাঁশখালী পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের লস্কর পাড়ার ওসমান গনীর ছেলে। অপরদিকে নিহত শাহ আলম সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ রূপকানিয়া এলাকার মাইজপাড়ার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।

বাঁশখালী থানা সূত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে পলাতক অবস্থায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা বাজারে অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে স্থান পরিবর্তন করে মাহবুব। পরবর্তীতে প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নির্ণয় করে বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব জানায়, তিনি দীর্ঘদিন যাবত বাঁশখালীর মিয়ার বাজারে অবস্থিত ‘মায়ের দোয়া ফুড প্রোডাক্টস’ নামক বেকারীতে চাকুরী করতেন। বেকারিতে একাধিক নারী শ্রমিকও কর্মরত ছিলেন। এরমধ্যে একজন নারী শ্রমিকের সাথে নিহত শাহ আলমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক মাহবুবুর রহমান মেনে নিতে পারেননি।

নারীর সাথে সম্পর্কে বারবার বাধা দেওয়ায় ২২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টায় শাহ আলম ও মাহবুবের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। এতে শাহ আলমের ওপর ক্ষুব্ধ হন মাহবুব। ক্ষুব্ধ হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২৩ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের সময় বেকারিতে মাহবুব প্রবেশ করে ভিকটিম শাহ আলমকে ঘুমন্ত অবস্থায় গাছ দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করার পর হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব আরও জানায়, ঘটনার সময় বেকারির অন্যান্য কর্মচারীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার শেষ পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ভেতরে অবস্থানরত অন্যান্য কর্মচারীরা দেখে ফেলায় তিনি তাদেরকে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান।

এদিকে শুক্রবার রাতে মাহবুবুর রহমানকে আসামি করে নিহত শাহ আলমের স্ত্রী রুবি আকতার বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ বলেন, আসামি মাহবুবুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামি নিজেকে জড়িয়ে আদালতে ঘটনা সম্পর্কে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পরবর্তী তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *