পর্যটক এক্সপ্রেসে মাত্র দুটি বগি চট্টগ্রামের, চট্টলাবাসীর ক্ষোভ
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেসের দুটি বগি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের জন্য। কক্সবাজার এক্সপ্রেসের মতো একটি এসি ও একটি শোভন চেয়ার। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ট্রেনটি চলাচল করবে। এবারও মাত্র দুটি বগি বরাদ্দ দেয়ায় ক্ষুব্ধ চট্টগ্রামবাসী।
ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বলছেন, চট্টগ্রামের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে কখন ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাবেন। চট্টগ্রাম থেকে আলাদা ট্রেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দেয়নি, উল্টো নামেমাত্র কয়েকটি বগি বরাদ্দ করেছে। যার সিংহভাগ টিকিটই কালোবাজির পকেটে যাচ্ছে।
লালখানবাজার এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা বলেন, ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেসে যাত্রী চাহিদা থাকার পরেও চট্টগ্রামবাসীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এবারও নতুন ট্রেনের কেবল মাত্র দুটি কোচ দেওয়া হয়েছে। ফলে সংকটসহ কালোবাজারিদের কারণে টিকিট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকতে হবে।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা ফেব্রুয়ারি নাগাদ ১২টি কোচ নিয়ে চট্টগ্রামের জন্য আলাদা একটি ট্রেন চলাচলের কথা চলছে বলে জানালেও নাম প্রকাশে রাজি হননি। ট্রেনটি দিনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চারবার চলাচল করবে বলেও জানান তিনি।
এসব বিষয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
নতুন পর্যটক এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছবে ভোর ৬টা ৩৮ মিনিটে। সেখানে পাঁচ মিনিট বিরতি দিয়ে ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে ছেড়ে বিরতহীনভাবে চট্টগ্রাম পৌঁছবে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছবে বিকেল ৩টায়।
অন্যদিকে কক্সাবাজার থেকে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। ২৫ মিনিট বিরতির পর রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছবে রাত ৩টা ৫০ মিনিটে। ওই স্টেশনে তিন মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছবে রাত সাড়ে ৪টায়।