আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ইসলামপন্থী দলের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে

পাকিস্তানে আশঙ্কাজনকহারে গ্রহণযোগ্যতা কমেছে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর। এবারের নির্বাচনে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চমক দেখালেও ধরাশায়ী ইসলামী দলগুলো।

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫৭ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছেন। আসন সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি-পিপিপি।

পিএমএল-এন এবং পিপিপির মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চমক দেখালেও ধরাশায়ী হয়েছে ইসলামিক দলগুলো।

নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থী দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান পিটিআই সমর্থিত প্রার্থির কাছে হেরেছেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর প্রধান সিরাজুল হকও হেরেছেন পিটিআই সমর্থিত আরেক প্রার্থীর কাছে।

পুরো নির্বাচনে এখন পর্যন্ত জমিয়তের দুটি আসন ছাড়া বাকি ইসলামপন্থিরা কোন আসনে জয় পাননি। ২০১৮ সালে যেখানে মাত্র ১২টি ধর্মপন্থি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। সে তুলনায় এবার ২৩টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়। এবার ভোটের ফলাফলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা অবনতির চিত্র আরও স্পষ্ট হয়েছে।
যদিও খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ৮ থেকে ১০টি আসন পাওয়ার ধারণা করলেও বাস্তবে তা ঘটেনি।

২০১৩ সালের পর থেকে দেশটিতে ধীরে ধীরে ইসলামপন্থি দলগুলোর ভোটার কমেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ইসলামপন্থিদের গ্রহণযোগ্যতা হারানোর পেছেনে ৫ কোটি ৬৮ লাখ তরুণ ভোটারের ভূমিকা রয়েছে। যা মোট ভোটারের ৪৫ শতাংশ।

প্রতিবেশী ভারতে যেখানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির দিকে ঝুঁকছে। সেখানে পাকিস্তানের জনগণ এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *