পাচারকালে তরুণের সাহসিকতায় রক্ষা পেল শিশু
ছয় বছরের মেয়েটিকে পাচার করা হচ্ছিল ১৫ বছরের কিশোরীকে মা সাজিয়ে। এ সময় কাঁদতে থাকে শিশুটি।
লেগুনায় থাকা তরুণ রিয়াজ সন্দেহ হয় কথিত মা ও শিশুর বয়স, কান্নাকাটি দেখে। এ কৌতূহল থেকেই রক্ষা পায় শিশুটি, ধরা পড়ে সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে নগরের অক্সিজেন টু দুই নম্বর গেট সড়কের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপহরণ চক্রে জড়িত দুই কিশোরী ও দুই যুবককে গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মো. সাইফুল ইসলাম (৩১), রাউজান পৌরসভা এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর রামগতির জান্নাতুল ফেরদৌস (১৫) ও বায়েজিদ এলাকার হীরা আকতার টুনি (১৭)। দুই কিশোরীকে সেফ হোমে এবং দুই আসামিকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার এএসআই সজীব।
সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে হাটহাজারীর এগারো মাইল এলাকায় বাড়ির সামনে খেলতে থাকা ছয় বছরের শিশুটিকে বেড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর শিশুটির বাবা সিএনজি অটোরিকশাচালক থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন লেগুনায় শিশুটিকে পাচারের সময় অস্বাভাবিক আচরণ ও কান্না দেখে কৌতূহল হয় সহযাত্রী রিয়াজ কবিরের।
তিনি জানান, অক্সিজেন থেকে ছেড়ে আসা লেগুনাতে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ওঠেন তিনি। লেগুনাটি বায়েজিদ বোস্তামী মাজারে গেটে এলে এক শিশুকে নিয়ে ওঠে আরেক যাত্রী। কিছু দূর যাওয়ার পর শিশুটি কান্না করতে থাকে। কারণ জানতে চাইলে মা পরিচয় দিয়ে কিশোরী বলে, পুতুলের জন্য। এ সময় সহযাত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাও শিশুটির কান্নার বিষয়ে জানতে চান। এতে আরও শঙ্কিত হয়ে যায় ওই কিশোরী। রিয়াজ লেগুনার চালককে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় নিয়ে যেতে বলেন। শিক্ষিকা ওই কিশোরীকে ধরে রাখেন, যাতে লেগুনা থেকে নামতে না পারে। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সব স্বীকার করে কিশোরী। পরে হাটহাজারী থানা পুলিশ এসে নিয়ে যায় কিশোরী ও শিশুটিকে।