বদলে যাচ্ছে খাগড়াছড়ির দুর্গম জনপদ
বদলে যাচ্ছে খাগড়াছড়ির দুর্গম জনপদ। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নতুন ঘর নির্মাণ, সুপেয় পানি, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ উন্নয়নমুখী নানা উদ্যোগে ভাগ্য বদল হচ্ছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের। দুর্গম এলাকায় যোগাযোগসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তাদের উন্নয়নে কাজ করছে প্রশাসন।
ছবির মতোই সুন্দর খাগড়াছড়ির দীঘিনালার দুর্গম গ্রাম লম্বাছড়া। তবে অবহেলিত ছিল পাহাড়ের পাদদেশে বাস করা ৬৭ পরিবারের এই গ্রামটি। মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই ছিল না অনেক অস্বচ্ছল জুমচাষির।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নতুন ঠিকানা পান স্থানীয়রা। এরই মধ্যে ২০ পরিবার পেয়েছে নতুন ঘর ও নলকূপ। দূর হয়েছে দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির সংকট। এ ছাড়া গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করায় মিলছে স্বাস্থ্য সেবাও।
চিকিৎসা সেবা নিয়ে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক ছিল না। আগে অসুখ-বিসুখ হলে ১৮ কিলোমিটার দূরের দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হত। এখন গ্রামেই স্বাস্থ্য সেবা মিলছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় প্রাথমিক শিক্ষার পরপরই ঝরে পড়ত অধিকাংশ শিক্ষার্থী। যোগাযোগ দুর্গম হওয়ায় নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এখানে বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সরকার।
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার ইউএনও মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, ‘এটা দুর্গম একটা এলাকা। এখানে ড্রপ আউট বেশি হয়। এখন জেলা প্রশাসন স্কুল হওয়ায় আশপাশের ১৯টি গ্রামে শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পাবে।’
শিক্ষার সুযোগ তৈরি, সুপেয় পানির সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবাসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। তিনি জানান, এ রকম একটি দুর্গম গ্রামে জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন একটা অসাধারণ উদ্যোগ। পাহাড়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে এই প্রতিষ্ঠান বড় ভূমিকা রাখবে। উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে দুর্গম লম্বাছড়া।
খাগড়াছড়ির ১৪শ গ্রামের অর্ধেকের বেশিই দুর্গম এলাকায়।