চট্টগ্রামবাঁশখালী

বাঁশখালী খানখানাবাদের দুই সিন্ডিকেটের বালু বাণিজ্য

সাঙ্গু নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে চলছে বালু বাণিজ্য। এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের দুইটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মোকামী পাড়ায় ও চৌধুরী ঘাট এলাকায় বালু উত্তোলন চলছে। প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই এই কার্যক্রম চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকবার উপজেলা প্রশাসন থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

গতকাল শুক্রবার খানখানাবাদ ইউনিয়নের সাঙ্গু নদীর কিনারে তিনটি পয়েন্টে বালু স্তুপাকারে রেখে ট্রাক যোগে বালু বিক্রির দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাঙ্গু নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধটি জোয়ারের স্রোতে প্রতি বছর ভেঙ্গে যাচ্ছে। সাঙ্গু নদীর ভাঙ্গনের ফলে পুকুরিয়া ইউনিয়নের তেচ্ছিপাড়ায় শতাধিক বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। একইভাবে সাধনপুর ইউনিয়নের রাতাখোঁদ্দ এলাকায় নদী ভাঙ্গনের ফলে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবুও থামছে না বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য। দিন দিন বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাব বিস্তার করে সাঙ্গু নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। অপর

একটি সূত্রে জানায়, বালু ব্যবসায়ীরা কয়েক বছর পূর্বে জেলা প্রশাসক থেকে বেড়িবাঁধের জিও ব্যাগ ভর্তি বাঁধ রক্ষার্থে ব্যবহারের জন্য অনুমতিপত্র নিয়ে সেই কাগজ এখন ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করছেন। খানখানাবাদ এলাকার একজন ইউপি সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, এলাকার উন্নয়নের নামে বালু পরিবহনের ফলে গ্রামীন রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে। বাঁধ বিলীন হওয়ার পাশাপাশি নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, খানখানাবাদের সাঙ্গু নদীর কিনারে বালু ব্যবসার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। স্যার বিষয়টি জেনে ব্যবসায়ীদেরকে ডেকে আনবেন বলে জানিয়েছেন। বালু ব্যবসায়ীরা যদি কাগজপত্র দেখাতে না পারে তাহলে অবশ্যই স্যার ব্যবস্থা নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *