জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটনীতীর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত-প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের চমৎকার সম্পর্ক প্রতিবেশি কুটনীতির রোল মডেল। প্রতিবেশীরা নানা ইস্যুতে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারে, যেমনটি আমরা আমাদের সীমান্ত নিয়ে করেছি।‘বর্তমান বিশ্বের জীবন এবং মানবতা রক্ষায় যুদ্ধ ও সংঘাতকে না বলা সম্ভব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে

গণভবন থেকে জি ২০ ভার্চুয়াল সামিটে অংশ নিয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে জি-২০ দেশগুলোর সভাপতির আসনে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরের দীর্ঘ সময়ের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এখন সক্ষম হয়েছে বিশ্বের ৩৫তম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে দাঁড়াতে। এই সময়ের মধ্যে অতি দারিদ্রের হার ২০০৬ সালের ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে অন্তত পাঁচ গুণ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বে আরোপিত স্যাংশন এবং কাউন্টার স্যাংশনের গেঁড়াকলে বিশ্বব্যাপী মানবিক এবং অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনে নারী পুরুষ নির্বিশেষে এমনকি নিরপরাধ শিশুদেরও গণহত্যা, নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এসব নৃশংস ঘটনা বিশ্বে অনেক উদ্বেগ ছড়াচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে জীবন এবং মানবতা রক্ষায় যুদ্ধ ও সংঘাতকে না বলা খুবই সহজ বিষয়। বাংলাদেশে এবং ভারতের চমৎকার সম্পর্ক প্রতিবেশি কুটনীতির রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। প্রতিবেশীরা নানা ইস্যু বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে ফেলতে পারে, যেমনটি আমরা আমাদের সীমান্ত নিয়ে করেছি।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গত এক বছরে জি২০ প্ল্যাটফর্মে আমাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষাপটে আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে বাংলাদেশে আশ্রিত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনে ভুমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানাই। জি-২০ সামিটে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা বাস্তবে পরিণত করতে কাজ করতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *