চট্টগ্রাম

বাঘের ঘরে নতুন অতিথিরা!

নগরের ফয়’স লেক এলাকার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বাঘ রাজ ও বাঘিনী পরির ঘরে নতুন অতিথিরা এসেছে। গত ৯ এপ্রিল তিনটি শাবক জন্ম দেয় পরি। এর মধ্যে একটি মৃত ছিল। বাকি দুইটি মেয়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানার কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ।

তিনি জানান, পাঁচ বছর বাঘশূন্য থাকার পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালে রাজ পরী নামের এক জোড়া বাঘ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকায় কেনা হয়। তাদের ঘরে আসে সাদা বাঘ। এখন বংশ বিস্তারের ফলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯টি। এর মধ্যে ১৩টি মেয়ে, ৬টি পুরুষ। সব মিলে এখন ৫টি দুর্লভ সাদা বাঘ রয়েছে।

প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সম্মানার্থে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার একটি বাঘ শাবকের নাম রাখা হয় জো বাইডেন। বাঘটির জন্ম ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সালে। বাঘ জো বাইডেন জন্মের পরপরই তার মা থেকে পরিত্যক্ত হলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় লালন-পালন করা হয়। এক বছর লালন করার পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাঁচায় অবস্থিত বাঘ পরিবারের সাথে সোশালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হিসাবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ২০১৮ সালের জুলাইতে জন্ম নেওয়া বাঘিনী জয়ার সঙ্গে এবছর প্রথমবারের মতো সে নিজের পরিবার তৈরি করলো। মানুষের হাতে লালন-পালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সাথে একত্রিকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া জো বাইডেনের ৩টি শাবকের নাম দেওয়া হয়েছিল- সম্রাজ্ঞী, তেজস্বিনী ও বিজয়িনী।

গত বছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্মগ্রহণ করা এক জোড়া বাঘ দিয়ে প্রাণী বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *