চট্টগ্রাম

বাজারে সবচেয়ে দামি সবজি কাঁকরোল

বাজারে ভরপুর সবজি। পাওয়া যাচ্ছে কাঁকরোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, পটোল, ঢেঁড়শ, কচুমুখি, কচুর লতি, চালকুমড়া। আছে বারোমাসি ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, করলা, শালগম, মিষ্টিকুমড়া, মূলাসহ হরেক প্রকার সবজি।

এরমধ্যে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে দামি সবজি কাঁকরোল। চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজারে কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ টাকায়। কাঁকরোলের সমানে ঠেকেছে কাঁচামরিচের দামও। সবচেয়ে কমদামে বিক্রি হচ্ছে লাউ কুমড়া। ৫০ টাকায় মিলছে এসব সবজি। ৬০ টাকায় ঢেঁড়শ পাওয়া গেলেও ক্রেতার পকেট পুড়ছে চিচিঙ্গা, পটল, ঝিঙেসহ অন্যান্য সবজিতে। ৭০-৮০ টাকার নিচে নেই কোন সবজি।

বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণে দাম এখনো বাড়তি। তার ওপর তাপপ্রবাহ, হঠাৎ বৃষ্টি!

চৈতন্যগলি পাইকারি আড়তদার মো. ফরিদ বলেন, উত্তরাঞ্চলের থেকে সবজি সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে প্রতিটি সবজির দাম ২০-৩০ টাকা বাড়তি। হঠাৎ বৃষ্টিতে কৃষকদের ফলনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। আগামী ১০ দিন বিভিন্ন সবজির দাম বাড়তি থাকবে।

এদিকে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থানভেদে বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা। যেখানে দুই সপ্তাহ আগে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে। আজ নগরের কর্ণফুলী মার্কেট মুরগির বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। সোনালি ৩৬০ থেকে ৩৬৫ এবং দেশি মুরগি কেজি প্রতি ৬৪০ থেকে ৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি পিস পোল্ট্রি মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা, সাদা ডিম ১১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে দেখা দিয়েছে এর প্রভাব। নগরের বিভিন্ন অলিগলির মুদির দোকানে ডিমের ডজন ১৫০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাজীর দেউড়ি বাজারে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজি মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪৫০, পাঙাশ ২২০ থেকে ২৪০, চিংড়ি ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০, কাতাল ৪০০ থেকে ৬০০, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, তেলাপিয়া ২২০-৩০০, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভোক্তাদের জাতীয় সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সিভয়েস২৪-কে বলেন, সাধারণ ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। একটি পণ্যে হাত বদলের কারণে উৎপাদিত মূল্য থেকে তিন গুণে দাঁড়াচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের উচ্চ মূল্যে কিনতে হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। মনিটরিং না থাকলে এসব থেকে রেহাই নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *