চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবানের ম্যাকছি খাল পরিষ্কার করল বিডি ক্লিন

বান্দরবান পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাকছি খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। জেলা প্রশাসকের ডাকে সাড়া দিয়ে সারাদেশ থেকে বান্দরবানে এসেছে ‘বিডি ক্লিন বাংলাদেশে’র প্রায় ছয় শতাধিক সেচ্ছাসেবক। তারাই এ খালের ময়লা, আবর্জনা আর বর্জ্যের ভাগাড় নিমিষে পরিষ্কার করেন।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় জর্জ কোর্ট এলাকায় ম্যাকছি খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বায়ক (এসডিজি) মো. আখতার হোসেন। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে আহ্বান জানান তিনি।

বিডি ক্লিনের সব সদস্যরা প্রথমে বান্দরবান কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে জড়ো হন। এরপরে শপথ বাক্য পাঠ করে নেমে পড়ে খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে।

জানা গেছে, বান্দরবান পৌর এলাকার সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ম্যাকছি খাল। যার নামের সঙ্গে জেলার নামকরণ বলা যায়। ম্যাকছি অর্থ বাঁদরের বাঁধ। এই খাল ঘিরে এক সময় মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ হতো। তবে বর্তমানে খালটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন ময়লা আর আবর্জনার এসে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছিল এই খালটি।

এদিকে প্রথমবারের মত এই খালটি উদ্ধার আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দীন। এমন উদ্যোগকে আমন্ত্রণ জানান সামাজিক সংগঠন ‘বিডি ক্লিন’।

এদিকে জেলার বিভিন্ন নদ নদী পরিষ্কারের পাশাপাশি পর্যটন নগরীকে আরও আর্কষণীয় করতে বিডি ক্লিনকে সঙ্গে নিয়ে এ ধরনের অভিযান আগামীতে অব্যাহত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, বান্দরবানের সৌন্দর্য রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিডি ক্লিনের সদস্যরা আজকে বিভিন্ন এলাকার নালা নর্দমা পরিষ্কার করে যে উদারতার দেখিয়েছেন তা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে। আর নিজ নিজ ময়লা আবর্জনা নিদিষ্ট স্থানে ফেলে নিজের আঙ্গিনার পাশাপাশি শহরকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

জেলা সদরের জর্জ কোর্ট এলাকার ম্যাকছি খালের মুখ থেকে শুরু করে বনানি সমিল পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার খালের বর্জ্য পরিষ্কার করল বিডি ক্লিনের ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, খাগড়াছড়ি আর বান্দরবানের প্রায় ছয় শতাধিক সদস্যরা এতে অংশ নেন। আর এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *