চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান উদযাপন

বান্দরবানের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকাদের আয়োজনে দানোত্তম এই শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়।

কঠিন চীবরদান উপলক্ষে ভোরে বিশ্বশান্তি মঙ্গল কামনায় সূত্রপাঠ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, পরে সকাল ৮টায় রাজবাড়ি থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে সকলে সমবেত হয়।পরে বুদ্ধপূজা, অষ্ট পরিষ্কার দান, মহাসংঘ দান এবং ধর্মদেশনা শেষে ভিক্ষুদের কঠিন চীবর দান করেন দায়ক-দায়িকারা।

এ সময় চীবর উৎসর্গ, শীল ও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত আসাবা মহাথের, রামগড় মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত সোভনা মহাথের, কান্তারমুখ পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত মিহিন্দা মহাথের, উজানীপাড়া রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত ড. সুবন্নলংকারা মহাথের, রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত কেতু মহাথের, আবাসিক পরিচালক ভদন্ত নাইন্দাসারা ভিক্ষুসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষরা।

অনুষ্ঠানে বোমাং রাজা উ চ প্রু, রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাজ কুমার মং ওয়ে প্রু, সিনিয়র সহসভাপতি মং ক্য শোয়েনু নেভী, সাধারণ সম্পাদক শোয়েনু প্রু রুমুসহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষেরা উপস্থিত ছিলেন।

তুলা থেকে সুতা বের করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাটকা চীবর (কাপড়) তৈরি করার পর সেই কাপড় রং করে ভিক্ষুদের দানের মাধ্যমে কায়িক, বাচনিক ও মানসিক পুণ্য সঞ্চয় হয় বলেই বৌদ্ধ শাস্ত্রে এই দানকে কঠিন চীবর দান বলে। আর এই কঠিন চীবর দানের মধ্য দিয়ে সুখ শান্তি লাভের আশায় বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রবারণা পূর্ণিমার পরে পুরো মাস জুড়ে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বিহারে জড়ো হয়ে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রদান করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *