বিএনপির শুদ্ধি অভিযান, ১৫০ জন বহিষ্কার
বিগত রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিএনপি তাদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব আগামী নির্বাচনের দিকে মনোনিবেশ করে দল গোছানোর পাশাপাশি নেতাকর্মীদের আচরণে শৃঙ্খলা আনতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। গত এক মাসেই অন্তত ১৫০ জন নেতাকর্মীকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতি থেকে দলকে রক্ষা করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি অন্তত ১০০ জন নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনেকের পদাবনতি হয়েছে বা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে এস আলম গ্রুপের গাড়ি ব্যবহার নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কারণে নেতাকর্মীদের অপকর্মের হার কমেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে নজরদারি করছি এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
তারেক রহমান খুলনা বিভাগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপি আজ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে, কিন্তু কিছু নেতাকর্মীর ভুল আচরণ সেই আস্থা নষ্ট করতে পারে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কড়া পদক্ষেপ হিসেবে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠন থেকে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভালুকায় একজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক পরিবেশ বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে মামলা করা হয়েছে, যা শৃঙ্খলা ফেরাতে দলের কঠোর মনোভাবেরই প্রমাণ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে এবং একক কোনো দল এই কাজ করতে পারবে না।