চট্টগ্রাম

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সিএমপি কমিশনারের মতবিনিময়

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন নবাগত চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের দামপাড়াস্থ সিএমপির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল, মহানগরের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, খোরশেদ আলম, এফএফ আকবর খান, অধ্যাপক ডা. মাসুদ আহমেদ, আবুল কাশেম, সৈয়দ আবদুল গণি ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোস্তাইন হোসেন, আবদুল ওয়ারীশ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পঙ্কজ দত্ত, মহানগর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর উদ্দিন, কোতোয়ালী থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌরিন্দ্র নাথ সেন, চান্দগাঁও থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন, হালিশহর থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহা. ইউনুছ, আকবর শাহ থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উল্লাহ, পাঁচলাইশ থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহামদ মিয়া, খুলশী থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউছুপ, বাকলিয়া থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী হোসাইন, বন্দর থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামরুল আলম জতু, সদরঘাট থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ, অ্যাডভোকেট জহির হোসেন, আলাউদ্দিন আহমদ, জাতীয় সংবাদ সংস্থা-এনএনবি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান রনজিত কুমার শীল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রসেনজিৎ দত্ত রাজু ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

সভায় সিএমপি কমিশনারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘সংগ্রামে-আন্দোলনে গৌরবগাথায় শেখ হাসিনা’আলোকচিত্র সংকলন তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় সিএমপি কমিশনার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন বাঙালি জাতির উপর হামলা করলো তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এ সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের নিয়ে বিতাড়িত করার মাধ্যমে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেলেও আসল মুক্তিযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। দেশকে নিরাপদ রাখতে হলে নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানসহ সবাইকে স্বোচ্চার থাকতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, দেশের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির জঙ্গিরা এখনো তৎপর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *