দেশজুড়ে

বেতন পেয়ে বন্ধুদের নিয়ে খেতে যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় গেল প্রাণ

ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কে বালুভর্তি ট্রাকচাপায় মুমিনুল ইসলাম ওরফে আলভী (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মুমিনুল পাবনা সদর উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। তবে গত প্রায় দেড় বছর আগে তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরনসিপুর গ্রামে বিয়ে করেন। তিনি পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিসের ফরিদপুর শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পাঠাও ফরিদপুর শাখার ব্যবস্থাপক শামীম বিশ্বাস (২৬) বলেন, গতকাল আমরা বেতন পেয়ে রাত ৯টার দিকে শহরের নৌফেল চত্বরে অবস্থিত পাঠাওয়ের কার্যালয় থেকে তিনটি মোটরসাইকেলে সহকর্মী নুরে আলম ও মুমিনুলের সঙ্গে বের হই। উদ্দেশ্য ছিল শহরের কোনো রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খাব। আমার মোটরসাইকেল সবার আগে ছিল। আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পার হয়ে জোরে চালিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর অন্যদুই সহকর্মীকে না দেখে দাঁড়িয়ে যাই। পরে মুমিনুলের মোবাইলে ফোন করলে সে ফোন না ধরায় আমি পেছনে গিয়ে দেখি বালুভর্তি একটি ট্রাক তাকে পেছন থেকে চাপা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মুজিব সড়কের সুপার মার্কেট পৌরসভা, জেলখানা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট আকারে তিনটি করে গতি রোধক (স্পিড ব্রেকার) দেওয়া। এসব গতিরোধকে কোনও সতর্কীকরণ চিহ্ন দেওয়া নেই।এছাড়া শহরের ভেতরের প্রধানতম এই সড়কে বেপরোয়া বালুর ট্রাকগুলো শহরবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ট্রাক ওইসব ছোট ছোট গতিরোধের ওপর গতি না কমিয়ে তুমুল গতিতে পার হয়। এজন্য ওইসব গতিরোধকে প্রচুর পরিমাণ বালু জমে থাকে।

সাড়ে ৯টায় দুর্ঘটনা ঘটার পর ওই সড়কে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে থামিয়ে রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *