জাতীয়

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগে থাকছে না শিক্ষক নিবন্ধন

বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসছে। শিক্ষক নিবন্ধন সনদের পরিবর্তে সরাসরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পদ্ধতি শুরু হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া করবে সরকারি কর্ম কমিশনের আদলে গঠিত একটি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বর্তমানে আইন তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এজন্য প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তির পর সনদের ভিত্তিতে আবেদন করলে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগে সুপারিশ করে থাকে এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আইনটি পাস হলে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো নিবন্ধন সনদের দরকার হবে না। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর এনটিআরসিএর জন্য নতুন আইন তৈরি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এতে সভাপতিত্ব করেন বৈঠকে।

শিক্ষক নিয়োগে নতুন আইন প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-২) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির কাজ চলমান। আশা করছি, আইনটি পাসের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তোলা হবে।

এদিকে, এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নির্বাচন এবং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে সুপারিশ কর্তৃপক্ষ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে। তবে এই নতুন আইন কার্যকর হতে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর এই সময় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আগের নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছে এনটিআরসিএ। প্রথম দশকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি। তবে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর এতে পরিবর্তন আসে। সনদ দেয়ার পাশাপাশি নিয়োগের জন্য সুপারিশের ক্ষমতা দেয়া হয় এনটিআরসিএকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *