চট্টগ্রাম

ব্যাংকিং খাত নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে সিপিডি: তথ্যমন্ত্রী

ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) প্রকাশিত প্রতিবেদন পুরোপুরি সত্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে কিছু অনিয়ম হয়েছে তা ঠিক, কিন্তু সিপিডি যে তথ্য উপস্থাপন করেছে তাতে ভুল রয়েছে। কিছু কিছু তথ্য একেবারেই অসত্য। মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতেই নির্বাচনের আগে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

রোববার (২৪শে ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদপত্রে শেখ হাসিনার বক্তৃতা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বড় বড় গ্রুপ লোন নিয়েছে সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে তারা বলতে চেয়েছেন হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এখানে কিছু ব্যাড লোন আছে। কিছু যে অনিয়ম হয়নি তাও ঠিক নয়, অনিয়ম কিছুটা হয়েছে। কিন্তু যেভাবে সবগুলো একত্রিত করে নির্বাচনের আগে সংবাদ সম্মেলন করা হলো এবং আপনি যখন প্রতিবেদনটা পড়বেন সব লোন সম্পর্কে সবাই জানে। এগুলো নিয়ে সংবাদপত্রে অনেক লেখা হয়েছে। সেগুলোকে সব এক করে তারা নির্বাচনের আগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানেও অনেক ভুল।’

উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সিপিডি বলেছে সরকারের উন্নয়ন বাজেটের ৭৫ শতাংশ আসে বৈদেশিক সাহায্য থেকে। এটা পুরোপুরি অসত্য ও ভোগাজ। আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৩৫ শতাংশ আসে বৈদেশিক সাহায্য থেকে। আগে আরেকটু কম ছিল। একটা গবেষণালদ্ধ প্রতিবেদনে এমন ভুল কি করে থাকে। তাহলে এ প্রতিবেদনে আরও ভুল আছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডির মতো প্রতি প্রতিষ্ঠান অবশ্যই দরকার রয়েছে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এবং সরকার যাতে সঠিকভাবে কাজ করে। প্রয়োজনে সরকারের ভুল ধরিয়ে দেবে। সেজন্য সিপিডির মতো প্রতিষ্ঠানের দরকার আছে। গবেষণারও প্রয়োজন আছে। কিন্তু এই গবেষণায় যখন এতো বড় ভুল থাকে। অসত্য তথ্য যখন থাকে। সে গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন উঠে, যারা প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাদের কাজ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম হয়েছে সত্য। অবশ্যই হয়েছে। এসব বিষয়ে সংবাদপত্রে অনেকবার প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে গবেষণার কিছু নেই। তারা পত্র-পত্রিকা ঘেটে একটা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এখন এটা করার উদ্দেশ্য মনে হয় মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেওয়া।’

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার (২৩শে ডিসেম্বর) দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিপিডি। সেখানে সংস্থাটি বলেছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত বড় ২৪টি বড় স্ক্যামের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে যে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। ছোটখাটো অনিয়ম, যেমন ঋণ অবলোপন, পুনরায় নির্ধারণ এবং আদালতের স্থগিতাদেশ বিবেচনায় নিলে মোট ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *