চট্টগ্রাম

ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করছে না ঠিকাদার, বিঘ্নিত পাঠদান

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর হাদী নগর বাস্তহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় এক বছর পূর্বে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে করে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা সীমাহীন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

জানা যায়, মরহুম আবদুল হাদী স্থানীয় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার সুবিধার্থে হাটহাজারী ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া হাদী নগর এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শ্রেণি কক্ষ নির্মাণ, তিনি ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতেন। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি, রেজিস্ট্রার ও কমিউনিটি বিদ্যালয় সরকারি করণ করলে এই বিদ্যালয়টি ও সরকারি আওতায় আসে। বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ পাঠদান অনুপযোগী হয়ে পড়লে বিদ্যালয়টি পুন:নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালে ২৬ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়।

তিন তলা বিশিষ্ট ৭টি শ্রেণি কক্ষ ও ১টি অফিস কক্ষের ৪ কোটি, ৩৮ লাখ, ১৫ হাজার ৪শ ৪৭ টাকার বরাদ্দে দরপত্রে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালের জুন মাসে নির্মাণ কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও কাজ বুঝিয়ে দেয়নি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এস এম এ কাইয়ুম। এতে করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরম ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করার সময় পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বাঁশের বেড়া, খুটি ও টিন দিয়ে একটি অস্থায়ী শ্রেণি কক্ষ নির্মাণ করে দেন। কিন্ত গত ৬ মে ঘূর্ণিঝড়ে বাঁশের বেড়া, খুটি ও টিন দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী শ্রেণি কক্ষ ও বিধ্বস্ত হয়ে গেলে পাঠদান কার্যক্রম আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

এই অস্থায়ী শ্রেণি কক্ষ ও এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামনে পরীক্ষা এই অবস্থায় যদি ঠিকমত পাঠদান কার্যক্রম চালানো না যায় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এই এলাকার সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা কি হবে তা সহজে অনুমেয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমা রানী দে জানান, প্রয়োজনীয় শ্রেণি কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের মাটিতে বসিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে।

এই বিষয়টি জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি মো. এয়াছিন কে একাধিকবার ফোন দিয়ে ও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে এর কাছে এ ব্যাপার জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছেন বলে জানান। ঠিকাদার যতদ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করবে বলে তাকে জানিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, শুধু এই কাজটা নয় আরো অনেক কাজ ঠিকাদারের করছে না বলে ও উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *