চট্টগ্রাম

বাল্যবিবাহ বন্ধ করে বিপাকে ইউপি সদস্য

১৪ বছরের কিশোরীকে জোর করে এক প্রবাসীর কাছে টাকার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক বিয়ে দিচ্ছিল তার সৎ মা। বৃদ্ধা নানী রিজিয়া বেগমের অনুরোধে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইউপি সদস্য।

গত ১৩ নভেম্বর রাত ৮টায় ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের পশ্চিমচাল এলাকায়। ঘটনার তিনদিন পর ১৬ নভেম্বর সৎ মা জেসমিন আকতারের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা নানী রিজিয়া বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন কিশোরী নাতনীকে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা করতে।

কিশোরীর নানী রিজিয়া বেগম (৬০) অভিযোগ করে বলেন, জোর করে প্রবাসীর কাছে টাকার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক বিয়ে দিচ্ছিল তার সৎ মা জেসমিন। নাতনীতে রক্ষা করতে আমার দুই নাতীসহ মেম্বারকে নিয়ে যায় তাদের ঘরে। সেখানে আমাদের লাঞ্ছিত এবং মারধর করে। এঘটনায় আমরা ইউএনও সাহেবকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে জানিয়েছি। আর আমার নাতনীকে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জমির হোসেন জানান, কিছুদিন আগে রাঙ্গুনিয়া এলাকার বৃদ্ধা রিজিয়া বেগম অভিযোগ করেন তার ১৪ বছরের নাতনীকে তার সৎ মা জেসমিন আকতার জোর করে এক প্রবাসীর কাছে বিয়ে দিচ্ছেন। তাকে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা করতে সহযোগিতা চাইলেন তিনি। এসময় স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে আমরা কিশোরীর সৎ মায়ের ভাড়া বাড়িতে যায়। সেখানে আমাদের লাঞ্ছিত করায় আমরা চলে আসি। পরিবারটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষ।

ঘটনাটি কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জমির হোসেনকে জড়িয়ে অপ্রচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমচাল এলাকায় স্থানীয়দের ব্যানারে ৫ শতাধিক মানুষ মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, গত ১৬ নভেম্বর রিজিয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা মহিলা সৎ মাযের নিকট তাঁর নাতনীর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন। বিষয়টি তদন্তের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *