চট্টগ্রাম

ভাঙারির দোকানে মেডিকেল বর্জ্য, ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে ভাঙারির দোকানে অবৈধভাবে মেডিকেল বর্জ্য মজুদ করায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

অদধিদপ্তরের একটি দল মঙ্গলবার নগরীর আনন্দবাজার টিজি কলোনি এলাকায় এক ভাঙারির দোকানে অভিযান চালিয়ে ৪৩ বস্তা মেডিকেল বর্জ্য জব্দ করে।

পরে দোকানের মালিক মো. তৈয়ব, দোকান কর্মচারী মো. তানভীর ও চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বুধবার পরিবেশ আইনে মামলা করা হয়।

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, মঙ্গলবারের অভিযানে তৈয়বের ভাঙারি দোকান থেকে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, সুচ, ক্যানোলা, স্যালাইনের বোতল, নল, ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য এবং বর্জ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত কালো ও হলুদ রঙের পলিথিন জব্দ করা হয়।

“সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে খোলা ও অনিরাপদ অবস্থায় মজুদ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে দেখা গেছে।”

নগরীর আনন্দবাজারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আবর্জনা ডাম্পিং স্টেশন। এই সাইটের পাশেই জাইকার অর্থায়নে একটি ইনসিনারেশন সেন্টার পরিচালনা করে সিসিসি। যেখানে কঠিন চিকিৎসা বর্জ্য পরিবেশসম্মত উপায়ে বিনষ্ট করা হয়।

নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে কঠিন চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ করে আনন্দবাজারের ইনসিনারেশন সেন্টারে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে ‘চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা’ নামের প্রতিষ্ঠানটি।

মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, “ওই ভাঙারির দোকান থেকে হলুদ ও কালো রঙের পলিথিন জব্দ করা থেকে প্রমাণ হয়, ‘চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা’ তাদের সংগ্রহ করা চিকিৎসা বর্জ্য ইনসিরাশেন সেন্টারে না দিয়ে অবৈধভাবে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করছিল। তদন্তে এর সত্যতা মিলেছে।”

‘চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা’র মালিক মো. জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালেও একই অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *