বিনোদন

ভারতের ‘গোদি মিডিয়া’র সমালোচনায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

ভারতের কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের ছাত্র-জনাতার আন্দোলনকে যেভাবে সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন দেশের জনপ্রতিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি ধ্রুব রাঠি ও আকাশ ব্যানার্জির মত ভারতীয় কন্ট্যান্ট ক্রিয়েটরদের প্রশংসা করে ভারতকে নতুন সেতুবন্ধব তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এটা পর্যবেক্ষণ করছি যে ভারতীয় ‘গোদি মিডিয়া’ এবং যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বড় গ্রুপ মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। ‘গোদি মিডিয়া’ সত্যিই পাগল হয়ে গিয়েছে এবং গত কয়েক দিনে শত শত মিথ্যা তথ্য তারা প্রচার করছে।

জঙ্গি হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে গণবিপ্লব হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই গোদি মিডিয়া একে মৌলবাদী-ইসলামবাদী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত চেষ্টা করছে যা একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার।

অতঃপর তারা হিন্দুদের ওপর হামলার মিথ্যা তথ্য প্রচার শুরু করল। আল জাজিরা, প্রথমআলো ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যম গুলো এমন অনেক মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সত্যটা তুলে ধরেছে।

হ্যা এখানে অরাজকতা হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগ সদস্যদের ওপর হামলা হয়েছে। তার বেশির ভাগই মুসলিম আর কয়েকজন হিন্দু। সব হামলা একেবারে অগ্রহণযোগ্য।

দেশকে অরাজকাতার মধ্যে রেখে অত্যাচারী হাসিনা পালিয়েছে বলেই এই ঘটনা গুলো ঘটেছে। যার কারণে মুসলিম-হিন্দুরা মিলে পাড়া-মহল্লা পাহাড়া দিচ্ছে। এইসবের কোনো কিছুই ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা’ দিকে ইঙ্গিত দেয় না। আসলে পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাসিনার আমলে হিন্দুদের ওপর হামলার সংখ্যা অনেক বেশি।

এই সমস্ত মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভারতীয় মিডিয়া যা চেষ্টা করছে তা হল মানুষের বিপ্লব থেকে সংখ্যালঘু সঙ্কটের দিকে কথার মোড় ঘুরিয়ে নেওয়ার!

না বন্ধুরা হাসিনাকে বাঁচাতে তোমাদের এইসব করা উচিত হয়নি। অনুগ্রহ করে বুঝতে চেষ্টা করুন তিনি একজন স্বৈরাচার এবং শশি ঠারুর যে ভাবে বলেছেন ‘তার যুগ শেষ’। তার হাত রক্তে ভরা। ভারতের বরং উচিত ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন সেতু বন্ধন তৈরি করা। দুর্ভাগ্যবশত তারা এখনো সেই চেষ্টা করেনি।

বাংলাদেশ ও ভারতের উচিত নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ শুরু করা। আমাদের বন্ধুত্ব পারস্পরিক সম্মান এবং বোঝাপড়ার সঙ্গে বৃদ্ধি হওয়া উচিত। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি ভারত যদি হাত বাড়ায় বাংলাদেশিরা তাদের আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত। ধ্রুব রাঠি ও আকাশ ব্যানার্জিকে দেখেন। তারা সত্য কথা বলে বাংলাদেশের মানুষের মনে তাৎক্ষণিক তারকা খ্যাতি পেয়ে গেছেন, হাসিনাকে তারা তাই বলেছেন যে নামে তাকে ডাকা উচিত ‘স্বৈরাচার’।

বাংলাদেশি অভিনেত্রী বাধনের এই স্ক্রিনশট দেখুন, যিনি হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন দাঁড়িছেন, কিন্তু এই এক্স হ্যান্ডেলে তাকে সাহায্যের জন্য কান্নারত হিন্দু নারী বলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে! কি একটা সার্কাস!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *