চট্টগ্রাম

ভারতে নারী পাচার, র‍্যারের জালে ধরা ২

ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি হওয়ার পর একজন ভুক্তভোগী নারী পালিয়ে আসে নিজ দেশে। তার লোমহর্ষক বর্ণনায় বেরিয়ে আসে নারী পাচার চক্রের ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কথা। আর তা নিয়ে সক্রিয় হয় র‍্যাব-৭। নগরের বায়েজিদ এলাকা থেকে পালিয়ে হাটহাজারী চলে যাওয়া দুইজন নারী আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সিনিয়র সহকারী পরিচালক শরীফ-উল আলম।

তিনি বলেন, ‘ভারতে পতিতালয়ে বিক্রি করা একটি চক্রে সক্রিয় দুইজন আসামিকে আমরা আটক করি। আসামি ঝুমু এবং পারভিন আক্তার বায়েজিদ বোস্তামী থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন বালুচড়া এলাকার নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশনে অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানতে পেরে একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন)সাড়ে তিনটার দিকে তাদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই দুইজনের নাম- ঠিকানা প্রকাশ করে। জানা যায়, তারা মানবপাচার মামলার দুই ও তিন নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে বেশি বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে আসছিল। এই মানব পাচার মামলার এক নম্বর আসামি মো. তারেককে গত ২৪ জুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঝুমু ও পারভিনকে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

জানা গেছে, ঝুমু (৩০) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জালিয়া পাড়া গ্রামের মো. তারেকের স্ত্রী। ‌ তারা বর্তমানে চন্দ্রনগর আবাসিক এলাকার দিদার বিল্ডিংয়ে থাকতেন। আরেক আসামি পারভিন আক্তার (২৫) বায়েজিদ বোস্তামীর বালুচড়া এলাকায় থাকতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *