ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ চেয়ারম্যান মুজিবুলের বিরুদ্ধে
বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান সিআইপির সমর্থনকারী আওয়াল হোসেন এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়াল হোসেন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা ব্যবহারের মধ্যে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। গত শনিবার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সালমা বাজার এলাকায় এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর করে।
গত মঙ্গলবার ছুনায়া প্রকাশ্যে এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে মঞ্চে বসে শত শত লোকের সামনে ভোট কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে। চাম্বলের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনও এজেন্টকে কেন্দ্রে থাকতে দিব না। ৫ তারিখের পরে বুঝতে পারবি মুজিব চেয়ারম্যান কি?’ বক্তব্যটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনমনে ভয় সঞ্চার হয়েছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। তার এই ধরনের বক্তব্য স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, চাম্বল বাজারে মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, পুলিশ আমার কিছুই করতে পারবে না। এমপি সাহেবের ক্ষমতা সম্পর্কে পুলিশের জানা নেই। এই ধরণের কথা বলে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। নির্বাচন কমিশন পূর্বে আমার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারেনি, বর্তমানেও কিছু করতে পারবে না। ভোট কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট ছাড়া, অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ করতে দিব না। মুজিব চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মুজিব চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভোটের মাঠে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে বাঁশখালী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মুজিব চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তিনটি অভিযোগ করা হয়েছে। থানায় একটি এজাহার জমা দিয়ে রেখেছি,সেটা মামলা নিয়েছে কিনা জানা নেই। আমাদের প্রার্থী মুজিবুর রহমান জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেছে।