মমতা’র গাদ্দার মন্তব্যের জবাব দিলেন মিঠুন
ভোটের প্রচারে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে গাদ্দার বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই মন্তব্যেরই জবাব দিয়েছেন অভিনেতা।
সোমবার (৩০ এপ্রিল) বীরভূমের নলহাটিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মিঠুন।
অভিনেতা তথা বিজেপি নেতার সাফ মন্তব্য, ‘আমাকে গাদ্দার বললে, আমিও তাকে গাদ্দারনি বলব। এনাফ ইজ এনাফ।’
সোমবার দুপুরে নলহাটি পৌঁছান মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর শহর এলাকায় শো ডাউন দেন তিনি। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে ২ নম্বর ব্লকের আকালিপুরের মাঠে সভায় যোগ দেন। রোড শো-র আগে নলহাটিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মিঠুন।
সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর গাদ্দার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে গাদ্দার বলেছেন। এতদিন আমি চুপ ছিলাম। কিন্তু আমারও পরিবার আছে। ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা রয়েছে। রামায়ণে যেমন সীতা মা আছেন, শূর্পণখাও আছে। আমিও আঘাত করব। আমাকে গাদ্দার বললে এবার থেকে মঞ্চে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে গাদ্দারনি বলব!’
এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফুঁসে ওঠেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘এবার সরকার পরিবর্তন না হলে, মানুষকে আরও বড় দুর্নীতির মুখে পড়তে হবে। কেউ ওদের আটকানোর থাকবে না।’ একইসঙ্গে এই অভিনেতা প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে অশালীন ভাষা! তিনি বলছেন, স্লিপ অফ টাং। সেটা হবে কেন? তার মুখ দিয়ে কী সব কথা ফসকে বের হয়ে যায়?’
তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন মিঠুন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। বিধানসভা নির্বানে বিজেপির হয়ে প্রচারও করেছিলেন। এবার করছেন লোকসভা নির্বাচনে।
দিন কয়েক আগে উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ভোটের সময় এই মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না, ও বাংলার আরেকজন বড় গাদ্দার।’ মমতার সেই মন্তব্যেরই কড়া জবাব দিয়েছেন মিঠুন।
মুসলিম ভোটারদের উদ্দেশে এদিন মিঠুন আরও বলেন, ‘বিভ্রান্ত হবেন না। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন নয়। আরেকটা কথা বলি, মুসলিমরা তৃণমূলের ভোট ব্যাংক নন। দুর্নীতি তাদের ভোট ব্যাংক।’ বক্তব্যের শেষে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি এমন একটা সাপ, যে গর্ত থেকে ইঁদুর ধরে। আগে আমার একটি সংলাপ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। তাই পরিবর্তন করেছি।’