চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম

মাটিরাঙায় মহাসড়কের বাঁকে কার্পেটিং নেই

মাটিরাঙায় মহাসড়কের বাঁকে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। দীর্ঘদিন বেহালে পড়ে থেকে সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। দ্রুতই সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাটিরাঙ্গা এলাকার জিয়া নগরের একটি বাঁক রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ার পর তা সংস্কার না করায় বাঁকটিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এজন্য সড়কের নিম্নমানের কাজকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের সড়কটি ভাঙ্গা হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রায় ৬ মাস ভাঙ্গা সড়কটি সংস্কার না করে এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। গত ছয় মাসে অন্তত শতাধিক ছোট বড় দুর্ঘটনার ঘটলেও তা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সবশেষ ১৩ নভেম্বর কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষে এক চালক আহত হন।

স্থানীয় এলাকাবাসী মো. আব্দুল আজিজ, রহমত উল্ল্যাহ ও মোতালেব সরকার জানান, এ জায়গায় ১৮-২০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তাটা খুব খারাপ। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সওজ বিভাগের লোকজন এসে রাস্তা দেখে চলে যায়। তদারকি করার কেউ নাই। বাঁকের সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

সড়কটি চলাচলকারী মো. মোফাজ্জল করিম জানান, আমার গাড়িকে একটি বাস চাপায় দিয়েছিল। নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। গত বর্ষায় বৃষ্টিতের রাস্তার কার্পেটিং ধুয়ে গেছে। রাস্তাটি বর্তমানে ছোট-বড় গর্ত হয়ে গেছে। রাস্তাটি যদি দ্রুত সংস্কার করা হয় তাতে কমে যাবে দুর্ঘটনা।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। ওই স্পটে গত বছরের বর্ষায় সারফেসিংয়ের পাথর উঠে যাওয়ায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঠিকাদারের যেহেতু ‘ডিফেক্ট লায়বেলিটি পিরিয়ড’ রয়েছে। সেজন্য ঠিকাদারকে সড়কের ওই অংশ সংস্কার করার জন্য বলা হয়েছে। খবর সূত্র: সময় নিউজ

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বির্ল্ডাস ও এস এম সালেদ আহমদ সড়কটি যৌথভাবে সংস্কার কাজ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *