চট্টগ্রাম

মায়াফুলের রঙিন জামায় ঈদের আনন্দ

হলুদ প্যাকেটে কালো হরফে লেখা ‘মায়াফুল’। সেই প্যাকেট খুলতেই বিস্ময় ছোট্ট শিশুদের।

ঈদের রঙিন জামা। খুশি ছড়িয়ে পড়েছে তাদের মা, বাবাসহ পথচারী এমনকি দায়িত্বরত পুলিশ-আনসার সদস্যদের মধ্যেও।

তারাও স্বেচ্ছায় বাঁশি বাজিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে সহযোগিতা করেন মায়াফুলের কর্মীদের।

রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মায়াফুল’ ঈদবস্ত্র বিতরণ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের।

এর আগেই ছিন্নমূল শিশু-কিশোররা জড়ো হয়েছিল কাজীর দেউড়ির পুরোনো সার্কিট হাউসের সামনের মাঠে। কোলের শিশুদের নিয়ে এসেছিলেন মায়েরা। তারাও খুশি ঈদের আনন্দে। সবার হাতে স্লিপ। তাতে লেখা ‘শিশুদের ঈদের জামা বিতরণ ২০২৩, নাম, টোকেন নম্বর, উদ্যোগে মায়াফুল। ’

পাখি, সাথি, সাকি, সেলিমসহ অর্ধ শতাধিক শিশু-কিশোর। জামার প্যাকেট পাওয়া মাত্রই খুলে দেখছে তারা। খুশিতে আত্মহারা। কেউ দেখছিল গায়ে লাগবে কিনা। কেউবা আবার জামার প্যাকেট নিয়ে ছুটে যায় দূরে দাঁড়ানো অভিভাবকের কোলে।

মায়াফুলের উদ্যোক্তারা জানান, কাজীর দেউড়ি এলাকার ৮০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরকে ঈদের জামা দেওয়া হয়েছে। এর আগে স্বেচ্ছাসেবকরা শিশুদের জামার মাপ নিয়ে নাম লিখে টোকেন দিয়েছে। গতকাল জহুর হকার্স মার্কেট থেকে কাপড় কিনে এনেছেন। যাতে জামাটি তাদের শরীরে ফিট হয়। এর আগে ফয়’স লেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোর ঈদের জামা দিয়েছি। কাট্টলী সাগর পাড়, কাপ্তাই রাস্তার মাথায় আমাদের দুইটি বিদ্যাপীঠ আছে। সেখানে ঈদের জামা বিতরণ করা হয়েছে। আগ্রাবাদ টিঅ্যান্ডটি কলোনি এলাকার শিশুদের মাপ নেওয়া হচ্ছে আজ। আমরা চাই এ বছর ১ হাজার শিশু-কিশোরকে ঈদের জামা উপহার দিতে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, মায়াফুলের সদস্যদের মাসিক চাঁদায় এ সংগঠন পরিচালিত হয়। এ ছাড়া কিছু সুহৃদ আছেন যারা দেশ-বিদেশ থেকে সহায়তা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *