চট্টগ্রাম

মুরাদপুরে বারবার জলাবদ্ধতার কারণ মাত্রাতিরিক্ত পাহাড়ি ঢল

অতিরিক্ত পাহাড়ি ঢলের কারণে সম্প্রতি মুরাদপুর এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দুই-তিন পয়েন্ট থেকে পাহাড়ি ঢল এসে মির্জাখালে এসে পড়েছে। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এবছর মুরাদপুরে পানি দীর্ঘক্ষণ জমে ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ।

মুরাদপুর, আগ্রাবাদ-হালিশহরের জলাবদ্ধতার কারণ জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
জলাবদ্ধতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুরাদপুর, আগ্রাবাদের কিছু অংশে, এভারকেয়ার হাসপাতালের অংশে এ বছর বেশি জলাবদ্ধতা ছিল। এসব এলাকা নিয়ে আমরা কাজ করবো। এর সমাধান করতে আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গেও বসেছি।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, বিশেষ করে মুরাদপুরকে নিয়ে আমরা কাজ করবো। মূলত এ অংশে দুই তিনটি পাহাড়ি ঢল এসে মির্জাখালে পড়ছে। এ অংশ থেকে কিছু পানি চাক্তাই, কিছু পানি ঢোমখালীখালে এবং কিছু পানি যাচ্ছে বির্জাখালের অভিমুখে। পাহাড়ি ঢলের পানি আমরা যা পরিমাপ করেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি এসেছে। তাই আগামী বর্ষার পূর্বে আমরা মুরাদপুরসহ জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকায় আমরা কাজ করবো। যাতে আগামী বর্ষায় সুফল পাওয়া যায়। খালের নাব্যতা এবং ড্রেনগুলো যদি ঠিক থাকে তাহলে নগরীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে।

আগ্রাবাদ-হালিশহরে এবারের জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে কুমার রেগুলেটরকে দায়ী করলেন প্রকল্প পরিচালক। কুমার রেগুলেটরের কাজ চলমান থাকার কারণে মহেশখাল সংলগ্ন আগ্রাবাদ-হালিশহরের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে কুমার রেগুলেটরের কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা কমে আসবে। কুমার রেগুলেটরের কারণে এবছর বৃষ্টি ও জোয়ারে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

আমরা বলেছিলাম, এ বছরে জলাবদ্ধতা কিছুটা সহনীয় থাকবে। তবে নগরবাসী বলতে পারবেন বছর শেষে জলাবদ্ধতা কতটা সহনীয় ছিল। এবছর নগরীর ১১৩টি জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এ পর্যন্ত ছোট-বড় মিলে ৪৩ স্থানে পানি জমেছে। বাকি পয়েন্টে পানি জমেনি। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ জলাবদ্ধতা আমরা কমিয়ে আনতে পেরেছি।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৫৭টির মধ্যে ৩৬টি খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। ৩৬টি খালের মধ্যে ১৬টি খালের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। এছাড়াও আরও ১০টি খালের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এর বাইরে হিজড়াখাল, মির্জা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *