চট্টগ্রাম

মেডিকেলের সুইপার থেকে কিশোর গ্যাং লিডার, অবশেষে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি এবং ছিনতাইরোধে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব-৭)। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় ৬ কিশোর গ্যাং গ্রুপের লিডারসহ ৩৩ জন সদস্যকে।

বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নগরের পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি, চকবাজার, বায়েজিদ, পাহাড়তলী ও ডবলমুরিং থানার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের অভিযানে ধরা পড়ে, মেহেদীবাগ পল্টন রোড এলাকার আরিফ হোসেন সাগর নামের এক ছিনতাইকারী গ্রুপের সদস্য। গত কয়েক মাস আগেও ছিলো চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালের সুইপার। সময়ের পরিক্রমায় ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিনের ছত্রছায়ায় হয়ে উঠে গোলপাহাড়-মেহেদীবাগ এলাকার ত্রাস। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ নির্বাক, কেউ সরাসরি প্রতিবাদ করার সাহস দেখাতে পারে না কাউন্সিলর গিয়াস এর ঘনিষ্ট লোক বলেই।

জানা যায়, গ্রেপ্তার আরিফ হোসেন সাগরের রয়েছে ১৫ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ, যার নেতৃত্বে বিদেশ ফেরত মোহাম্মদ আসিফ নামের কথিত একজন যুবলীগ নেতা। এলাকায় নির্মাণাধীন বিল্ডিং, বিভিন্ন মেডিকেলে রোগীদের হয়রানি করে চাঁদা আদায়সহ, রাতের অন্ধকারে চুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করাই তাদের প্রধাণ পেশা। এর আগেও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে মাসখানেক আগেই জামিনে বের হয়েছে একাধিক মামলার আসামী আরিফ হোসেন সাগর।

র‍্যাব জানায়, ঈদকে কেন্দ্র করে নগরের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাং এর অপতৎপরতা দেখা গেছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হচ্ছে তারা। বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছে র‍্যাব। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে অনেক দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, ঈদকে কেন্দ্র করে নগরের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাং এর অপতৎপরতা দেখা গেছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হচ্ছে তারা। বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছে র‍্যাব। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে অনেক দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তার ৩৩ জন কিশোর গ্যাং সদস্যদের মধ্যে পাঁচজনের নামে নগরের বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির মোট ৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।

তিনি জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব শপিং সেন্টারে আমাদের গোয়েন্দা দল সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া ট্রেন ও বাস স্টেশনগুলো থেকে যাত্রীরা যেন তাদের ভ্রমণ নিরাপদে করতে পারে সেই নিরাপত্তা র‍্যাব দেবে। অর্থাৎ ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো কিশোর গ্যাং গ্রুপ যেন অপকর্ম লিপ্ত হতে না পারে সেজন্য র‍্যাব-৭ তৎপর রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *