মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ, বাবা-মাকে পিটিয়ে আহত
বরগুনা: আমতলী উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মেয়েটির মা-বাবা ও চাচাতো ভাইকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়ের মা সাতজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, উপজেলার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত এক বছর ধরে জাহিদ মোল্লা নামে এক বখাটে উত্ত্যক্ত করে আসছেন। গত তিন মাস আগে ওই স্কুলছাত্রীকে জাহিদ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল খানের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়। গত বুধবার দুপুর ২টার দিকে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে জাহিদ আবার উত্ত্যক্ত করেন বলে জানান স্কুলছাত্রীর মা। খবর পেয়ে ছাত্রীর বাবা-মা প্রতিবাদ করলে জাহিদ মোল্লাসহ ছয়-সাতজন লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করেন। এসময় তাদের রক্ষায় মেয়ের চাচাতো ভাই এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার পরপর জাহিদ আত্মগোপন করেছেন।
স্কুলছাত্রীর আহত বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে বখাটে জাহিদ মোল্লা স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছে। আমি এর প্রতিবাদ করায় আমাকে, আমার দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। স্থানীয় সজল আকন ও ছেলের বাবা সাইফুল মোল্লা আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে।
অভিযুক্ত জাহিদ হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। উল্টো মেয়ের বাবা-মা এবং চাচাতো ভাই আমাকে মারধর করেছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা কাঙ্ক্ষিতা মণ্ডল তৃণা বলেন, স্কুলছাত্রীর বাবা-মাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।