চট্টগ্রামরাজনীতি

যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর, মানববন্ধনে ফের হামলা

চট্টগ্রামে দোকান থেকে এক যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চসিক কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর বিরুদ্ধে। মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধনে চালানো হয়েছে হামলাও। এতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে নগরের পাঁচলাইশ থানা মোড়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে রবিবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চকবাজার এলাকার মেডিকেলের পূর্ব গেইটের সামনে ফার্মেসি থেকে তুলে নেওয়া হয় মেহেদি হাসান নামে এক যুবলীগ নেতাকে।

জানা গেছে, আশঙ্কাজনক দুজনের একজন আরাফাত হোসেন। অন্যজন মিজান রহিম। আরাফাত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে এবং রহিম নাক, কান ও গলা বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।

জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেদি হাসান নামে ওই যুবলীগ নেতার বন্ধুর মোবাইলে ফোন করে হুমকি ধমকি দেন চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু। এর কিছুক্ষণ পরই টিনুর ১০-১৫ লোক এসে মেহেদিকে তুলে নিয়ে যায় কাউন্সিলর কার্যালয়ে। সেখানে তাকে মারধর করার একপর্যায়ে সিনিয়র নেতাদের ফোনে মেহেদিকে পাঁচলাইশ মোড়ে এনে ছেড়ে দেওয়া হয়। যুবলীগ নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে পাঁচলাইশ থানা মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ওই মানববন্ধনে আবারো দুর্বৃত্তরা এসে মেহেদিসহ অন্যান্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১০-১৫ ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মী আহত হন।

ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা মেহেদি হাসান বলেন, চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু গতকাল আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করেন। এরই প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে হঠাৎ ৮০ থেকে ১০০ জন লোক সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘হামলার ঘটনায় কাউন্সিলরসহ ছয় জনকে নামীয় অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *