পার্বত্য চট্টগ্রাম

রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস পালিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে রাঙামাটি বঙ্গবন্ধু মুর‍্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

সকালে বঙ্গবন্ধুর মুর‍্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।

এরপরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষে সদস্য সবির কুমার চাকমা ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ নীহার রঞ্জন নন্দী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসীন রোমানসহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুর‍্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, পাকিস্তানি শোষণকালে জাতির পিতার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও জাতির পিতার শিশুকাল ও কর্মময় জীবনের প্রেক্ষাপট বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। জাতির পিতার আত্মজীবনী সকলকে অনুধাবন করতে হবে। একজন শিশু যদি নিজের জীবন গড়তে চায় তাহলে জাতির পিতার জীবনী সঠিক ভাবে অনুসরণ করলে তার জীবন গড়ার পথে কোন বাধা আসতে পারে না।

এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবীর, প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন।

এ সময় বক্তারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশকে ভালোবেসে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *