রাজনৈতিক ফায়দা পেতেই ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে গুজব, বললেন শিক্ষামন্ত্রী
যে বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকে কোনো আলোচনা নেই সেই বিষয়েও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলেই অপপ্রচার চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির পর্যালোচনায় শরীফ-শরীফা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলছেন, বইয়ের আলোচিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বয়স অনুযায়ী যথোপযুক্ত কি না- তা পর্যালোচনা হবে।
পাবলিক সেমিনারে নিজে বই ছিঁড়ে পাশাপাশি অন্যকে বই ছিঁড়তে উৎসাহিত করে আলোচনায় আসিফ মাহতাব নামে এক শিক্ষক। এরপর নতুন কারিকুলামের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের শরীফ-শরীফার বিষয়টি নিয়ে সৃষ্ট সমালোচনায় তা তদন্ত ও পর্যালোচনা করতে ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তাতেই শেষ হয়নি এই ইস্যুতে আলোচনা- সমালোচনা। তবে সব ছাপিয়ে দেশের আইন ও ধর্মীয়ভাবে অনুমোদিত নয়- এমন বিকৃত ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বিষয়ে নাকি পাঠ্য পুস্তকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে অপপ্রচার আর গুজবে সয়লাব হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্লাটফর্ম।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই পাঠ্যপুস্তকে নেই এমন অগ্রহণযোগ্য বিষয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে । কমিটির মতামত পাওয়ার পর শরীফ-শরীফার বিষয়টি পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে শরীফ- শরীফার গল্পে উল্লেখিত বিষয়সহ পাঠ্যপুস্তকে আলোচিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বয়স অনুযায়ী যথোপযুক্ত কি না তা যাচাই করতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিবে মন্ত্রণালয়।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক গঠনের পরিবর্তন নিয়ে পাঠ্যপুস্তকে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে জানিয়ে সমালোচনার নামে গুজবের লিপ্ত না হতে আহ্বান সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।