রোজায় ওমরাহ যাত্রীদের প্লেনভাড়া বেড়েছে ৪০ হাজার
প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ওমরাহ হজের প্লেন ভাড়া। গোটা রমজান মাসজুড়ে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের সব রুটের প্লেন ভাড়া দেড় থেকে দুই গুণ বেড়েছে। প্লেনের ভাড়া বাড়ায় ওমরাহ হজযাত্রীদের প্যাকেজের খরচ অনেক বেড়েছে।
ট্রাভেল এজেন্সি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ওমরাহ যাত্রীরা সাধারণত সৌদি আরবের জেদ্দা এবং মদিনা শহরে যায়। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের এই দুই রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে কেবল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সাউদিয়া)। এই রুটে স্বাভাবিক সময়ে রিটার্ন ভাড়া ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। একই ভাড়া থাকে সাউদিয়ার। তবে বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেদ্দা রুটের ভাড়া ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা। মদিনা রুটের ভাড়া ১ লাখ ১০ হাজার। জেদ্দা ও মদিনা রুটে সৌদি এয়ারলাইন্সের বর্তমান ভাড়া ১ লাখ ২২ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, এই মৌসুমে এটাই স্বাভাবিক ভাড়া। প্রতিবছরই রোজায় ওমরাহ হজযাত্রীদের সংখ্যা বাড়ে। সেই তুলনায় ফ্লাইট সংখ্যা না বাড়ায় প্লেনের ভাড়া বাড়তি থাকে।
ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বলছে, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই ওমরাহ যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে মূল হজের প্যাকেজ খরচ বেড়ে যায়। তখন থেকেই অনেকেই হজ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে কম খরচে ওমরাহ হজ করার সিদ্ধান্ত নেন। অতিরিক্ত সওয়াবের আশায় তারা রমজান মাসকে বেছে নেন। একারণেই যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি, সে অনুযায়ী টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
বিমান বাংলাদেশ ও সাউদিয়া ছাড়াও ১১টির মতো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে যাত্রী নিয়ে নিজ দেশে ট্রানজিট দিয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ যাত্রী পৌঁছে দেয়। ট্রানজিট ও যাত্রার লম্বা সময়ের কারণে এসব ফ্লাইটের ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তবে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তারাও ফ্লাইটের দাম দেড় থেকে দুইগুণ বৃদ্ধি করেছে।
বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে এয়ার অ্যারাবিয়া এয়ারলাইন্স, এমিরেটস এয়ারলাইন্স, ফ্লাই দুবাই, গালফ এয়ার, জাজিরা এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা এয়ারলাইন্স, ওমান এয়ার এবং সালাম এয়ার ওমরাহ যাত্রী বহন করে।