রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুইডেনের রাজকন্যার সহানুভূতির স্পর্শ
বাংলাদেশ সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের রাজকুমারী ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া বুধবার (২০ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান।
ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন ও খাদ্য বিতরণের ই-ভাউচার সেন্টার, ক্যাম্প-৪ এ ইউএন ওমেন এবং ইউএনএফপিএ পরিচালিত মাল্টিপারপাস ওমেন্স সেন্টার পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গাদের বেদনা ও দুর্দশার প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া।
রোহিঙ্গা নারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ইউএন ওমেন ও ইউএনএফপিএ-এর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি। রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তাদের জন্য আরও সহায়তার আহ্বান জানান।
রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া ক্যাম্প-৫-এর ইউএনএইচসিআর পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, বেকারি শপ, পাটজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম, ক্যাম্প-১০ এর ইউএনডিপি পরিচালিত ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ন্যাচার বেইজড সলিউশন সাইট, ক্যাম্প-১৮ এর আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার পরিদর্শন করেন।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সুইডেনের অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকেলে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যাবেন সুইডেনের রাজকুমারী ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। একইদিন সন্ধ্যায় তিনি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার এই সফর রোহিঙ্গাদের জন্য আশার আলো দেখিয়েছে। তাদের বেদনা ও দুর্দশার প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) জন্য শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুইডিশ রাজকন্যা।