শিশু ধর্ষণের বর্ণনা দিতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি র্যাব কর্মকর্তা
কুমিল্লায় শিশু স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত ধর্ষক ঘাতক মফিজুল ইসলাম ওরফে মফুকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (১ মে) র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওই ঘাতককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ সময় র্যাব কমান্ডার তানভীর মাহমুদ পাশা ঘটনার বর্ণনা দিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। বার বার চোখের পানি মোছেন তিনি।
ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার তানজিম সুলতানা ঝুমুর (৯) কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় সোনালী শিশু বিদ্যানিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এর আগে অভিযুক্ত মফুকে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানাধীন ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মফু একই উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
র্যাব-১১-এর পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল সকালে ঝুমুর স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফিরলে তার মা স্কুলে যান। সেখানে মেয়ের কোনো হদিস না পেয়ে ফেরার পথে ঝুমুরের সহপাঠীর কাছে জানতে পারেন সে স্কুল শেষে বাড়ি চলে গেছে। বিকালে বাড়ির অদূরে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে আছে বলে তিনি জানতে পারেন। সেখানে গিয়ে তিনি তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, গ্রেফতার মফিজুল ইসলাম মফুকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখেছেন।
গ্রেফতার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ঝুমুরকে সে চিনতো। এই সুযোগে ২৯ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ওত পেতে থাকে। ঝুমুর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে মফু তাকে রাস্তার পাশের ধানি জমিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ঝুমুর চিৎকার করার চেষ্টা করলে মফু তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। কোনো নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিঁড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আসামি। এ ঘটনায় মামলা করলে মফু চাঁদপুরে পালিয়ে যায়।