লাইফস্টাইল

সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ৫টি সহজ উপায়

ক্ষমা করার মতো ক্ষমা চাইতে জানাও নিঃসন্দেহে মহৎ গুণ। সম্পর্ক সব সময় মসৃণ নাও থাকতে পারে। কখনো কখনো দেখা দিতে পারে ঝড়, কালো মেঘে ঢেকে যেতে পারে নীল আকাশ। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, এসবই সম্পর্কের অংশ। তাই একটুতেই মুষড়ে পড়লে চলবে না। বরং সমস্যা এলে তা সমাধানেও মনোযোগী হতে হবে। যদি সত্যিই আপনার কোনো ভুল হয়ে থাকে, ক্ষমা চেয়ে নিন। এতে আপনি মোটেই ছোট হবেন না, বরং আপনার বড় মনের পরিচয় মিলবে। সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ৫টি সহজ উপায় জেনে নিন-

১. সামনে দাঁড়িয়ে

চেষ্টা করুন তার সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাওয়ার। কেন তা বলছি। আসলে এ ধরনের ক্ষেত্রে টেক্সট বা কল করলে তা ভুল বোঝাবুঝি বাড়াতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চান তাহলে অনেক সময় আপনাকে কিছু বলার দরকার নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার শারীরিক ভাষা সমস্ত কথা বলতে পারে। তাই এমন একটা পরিবেশ তৈরি করুন, যেখানে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাওয়া সহজ হয়। তারপর তার চোখে চোখ রেখে ক্ষমা চান। এতে ভালোবাসা বাড়বেই।

২. একটি চিঠি লিখুন

পরিস্থিতি অনেক সময় এমন প্রতিকূলে থাকে যে আপনার উপস্থিতি তখন আগুনে ঘি ঢালার মতো হতে পারে। এধরনের ক্ষেত্রে ক্ষমা চাওয়ার জন্য কলম এবং কাগজ নিতে পারেন। নিজের ভুলের দায় স্বীকার করে কোন পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটেছে তার বিশদ বিবরণ জানিয়ে তাকে একটি চিঠি লিখুন। এতে আপনি সামনে না থাকলেও আপনার চিঠি তার হয়ে কথা বলবে।

৩. সংশোধন করুন

একবার সঙ্গীর সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইলে বা চিঠি লিখলে, আপনার পরবর্তী পদক্ষেপটি হবে সংশোধন করার চেষ্টা করা। তাকে ডেটে নিয়ে যান, বিশেষ কিছু পরিকল্পনা করুন এবং তার পছন্দের কাজগুলো করুন যাতে সে নিশ্চিত হয় যে, যাই হোক না কেন আপনি তার জন্য আছেন। একজন ভালো শ্রোতা হন এবং তার অনুভূতিগুলো বুঝতে চেষ্টা করুন। শুধু ‘দুঃখিত’ বললেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে না।

৪. সমস্যার সমাধান করুন

যদি আপনার সমস্যার সমাধান না করেন তবে একই জিনিস নিয়ে ঝগড়া বাধার ভয় থাকতে পারে। অনেক সময় সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে মনে করে এগিয়ে গেলেও ঘুরেফিরে আবার সেই শুরুর সমস্যায় এসে পড়তে হয়। তাই সম্পর্ক সুন্দর রাখার খাতিরেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

৫. তাকে বলুন সে আপনার জন্য স্পেশাল

প্রতিটি ঝগড়ার পরে আপনার সঙ্গীকে বোঝানো গুরুত্বপূর্ণ যে সে আপনার জীবনে কতটা স্পেশাল। এটি কেবল ক্ষমা চাওয়ার অংশ নয়, আপনার সম্পর্কের স্ফুলিঙ্গকে বাঁচিয়ে রাখার একটি মন্ত্রও। তাই তাকে গুরুত্ব দিতে জানলে আপনি নিজেও হয়ে উঠবেন তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *