চট্টগ্রামসন্দ্বীপ

সন্দ্বীপের ২ প্রার্থীকে ডেকেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মারধর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পৃথক ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরীকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সামনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

দুই প্রার্থীই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য মিতাকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, “স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় আপনার অনুসারীরা ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থনে আলী মিয়ার বাজারে সমবেত মিছিলে বিভিন্ন ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় ও তাদের মারধর করে।

একইদিন রাত পৌনে আটটায় এনাম নাহার মোড়ে ঈগল প্রার্থীর সমর্থনে পথসভা চলাকালে আপনার কর্মী সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় এবং তাদের মারধর করে। এসব ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রার্থীর পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি জানিয়ে চিঠিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা বলা হয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সশরীরে হাজির হয়ে বা মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে ২৫ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

এ বিষয়ে মিতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি এখনও চিঠি পাইনি, চিঠি পেলে বলতে পারব কেন ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, “স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় আপনার সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতার সমর্থনে আলী মিয়ার বাজারে সমবেত মিছিলে বিভিন্ন ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় ও তাদের মারধর করে। একইদিন রাত পৌনে আটটায় এনাম নাহার মোড়ে নৌকা প্রার্থীর সমর্থনে সভা চলাকালে আপনার কর্মী সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় এবং তাদের মারধর করে।”

উল্লেখিত ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রার্থী জামালের পক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এসব কার্যাবলি আচরণবিধির লঙ্ঘন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *