চট্টগ্রামসাতকানিয়া

সাতকানিয়ায় ইটভাটার মাঝিকে মারধর, শ্রমিককে গুলি করার অভিযোগ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চট্টগ্রাম ব্রিকস-২ ইটভাটার লেবারসেডে নুর হোসেন নামে এক মাঝিকে মারধর ও তাকে বাঁচাতে আসা শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে অন্য দুই ইটভাটার মাঝির বিরুদ্ধে। তারা হলো- আরবিএল ব্রিকফিল্ডের মাঝি আমান উল্লাহ প্রকাশ বাদশা ও ডিবিএম ব্রিকফিল্ডের মাঝি জামাল।

গুলিবিদ্ধ শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম (৪০) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের জাকির হোসেনের ছেলে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নে তেমুহনী নয়াখালের মুখ চট্টগ্রাম ব্রিকস-২ এর লেবারসেডে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গতকাল সোমবার রাতে মাঝি নুর হোসেন ২৩ জন লেবারসহ ঘুমিয়ে পড়ে। দিবাগত রাত দুইটায় পাশ্ববর্তী ডিবিএম ব্রিকফিল্ডের মাঝি জামাল এবং আরবিএল ব্রিকফিল্ডের মাঝি আমান উল্লাহ প্রকাশ বাদশার নেতৃত্বে ১০/১৫ জন নুরু হোসেন মাঝিকে মুখ বেঁধে ঘুমের মধ্যেই মারধর শুরু করে। নূর হোসেনের চিৎকারে শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম তাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। ওই সময় মাঝি এবং শ্রমিকদের চিৎকারে সবাই জেগে গেলে হামলাকারীরা জাহাঙ্গীরকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে আহত জাহাঙ্গীরকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেকে) স্থানান্তর করেন।

চট্টগ্রাম ব্রিকস-২ এর মাঝি নুর হোসেন বলেন, আমার পাশ্ববর্তী ডিবিএম ব্রিকফিল্ডের মাঝি জামাল এবং আরবিএল ব্রিকফিল্ডের মাঝি আমান উল্লাহ প্রকাশ বাদশার সাথে আমার পূর্বশত্রুতা ছিল। জামালের শ্রমিক জাহেদ রাত ৮টায় এসে আমি কোথায় আছি সেটা নিশ্চিত হয়ে যায়। পরে দিবাগত রাত ২টায় ঘুমন্ত অবস্থায় আমার উপর হামলা করে এবং আমান ও জামাল মাঝির নেতৃত্বে একটি টিম।

কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান আলী বলেন, আমার ইটভাটায় গতকাল দিবাগত রাত ২টার সময় কিছু দুষ্কৃতিকারী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অটো মিলের মাঝি নুর হোসেনের উপর আক্রমণ শুরু করে। তখন তাকে বাঁচাতে আসলে জাহাঙ্গীরকে গুলি করে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সাতকানিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, কেঁওচিয়ায় ইটভাটার শ্রমিকের উপর হামলা খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। আমরা ওই সময় আহত জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *